ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।এ পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে এতে আগুন ধরে যায়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভুইয়া যুগান্তরকে জানান, এ পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫ জন যাত্রী।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান ওই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা। শুক্রবার ভোর ৪টায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার লঞ্চ টার্মিনালে শত শত স্বজনদের আহাজারি গুনতে পাওয়া যায়।
তবে কিভাবে ওই লঞ্চে আগুন লেগেছে, লঞ্চ কোথায় আছে বা হতাহতের সঠিক কোন তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্বজনদের কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে লঞ্চে থাকা একাধিক যাত্রীদের ফোন করা হলেও অনেকেই তা রিসিভ করেননি।
রুনু বেগম নামের এক যাত্রী বলেন, জীবন বাঁচাতে পারবো কি-না জানি না। পুরো লঞ্চে আগুন জ্বলছে। ছোট বাচ্চা নিয়ে কি করবো জানি না। আমাদের বাঁচাও। এই বলে তিনি কেঁদে ফেলেন ও ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ভোর সাড়ের চারটায় রাজারহাট-বি নামের আর একটি লঞ্চ বেতাগী লঞ্চঘাটে এসে পৌঁছালে ওই লঞ্চের যাত্রীরা জানান, দূর থেকে দেখেছি লঞ্চটিতে আগুন জ্বলছে। এ ব্যাপারে অভিজান-১০ লঞ্চের ইনচার্জ কামরুল হাসানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।