উপজেলা প্রতিনিধি (অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৮টি ইউনিয়নে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদন্দীতা করেছিলেন।
এদের মধ্যে ১৫ জন প্রার্থী পর্যাপ্ত ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ রবিবার উক্ত ৮টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। অভয়নগর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচন বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোট প্রদত্ত ভোটের ১২.৫ শতাংশ ভোট না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ভোট এক লক্ষ ৪২ হাজার ৯৮ জন। এদের মধ্যে নির্বাচনে এক লক্ষ ১২ হাজার ৯৭৬ ভোট পড়ে। কাস্টিং ভোটের শতকরা হার ৮৪ শতাংশ। নির্বাচনে প্রেমবাগ ইউনিয়নে পাঁচজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে লাঙল প্রতিকের ফরিদুল ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট-২৮৯) ও মোটর সাইকেলের সুরভী রেজার (২৮৯ ভোট) পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সুন্দলী ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতিকের মোসলেম আলী গাজী (৪২৩ ভোট) ও মোটরসাইকেল প্রতিকের উজ্জল বিশ্বাস (৭৫২ ভোট) প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া চলিশিয়া ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতিকের মো: আবু সাইদ সরদার (৭৩৪ ভোট) ও চশমা প্রতিকের ইনামুল হাসান সরদার (এক হাজার ৩০৮ ভোট), পায়রা ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতিকের মাষ্টার ফজলুর হক মোল্যা (৩৬০ ভোট), শ্রীধরপুর ইউনিয়নে লাঙল প্রতিকের শাহ আলম মোল্যা (৩৯৩ ভোট), বাঘুটিয়া ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতিকের আবু তাহের বিশ্বাস (১৯৩ ভোট), শুভরাড়া ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতিকের জাকারিয়া হুসাইন (এক হাজার ৪২০), আনারস প্রতিকের এবিএম জাকির হোসেন (এক হাজার ৩৫৪ ভোট) ও টেবিলফ্যান প্রতিকের শাজাহান মুন্সি (২২ ভোট) এবং সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে চশমা প্রতিকের শেখ আব্দুল লতিফ (৬১ ভোট), হাতপাখা প্রতিকের শেখ তরিকুল ইসলাম (৬১৭ ভোট) ও আনারস প্রতিকের এম.জি সরোয়ার ফারাজী (১৬১ ভোট) জামানত হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস.এস হাবিবুর রহমান বলেন, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৪০ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নিয়ম অনুযায়ী কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেয়ে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।