নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ধাপে ধাপে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সশরীর পাঠদান শুরু হবে। তবে যেসব শিক্ষক টিকা নেননি তাঁরা ক্লাস নিতে পারবেন না। দিল্লিতে রাত্রিকালীন কারফিউয়ের সময়ও এক ঘণ্টা কমানো হয়েছে। এখন থেকে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এ কারফিউ চলবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী রাত ১০টা থেকে রাত্রিকালীন কারফিউ শুরু হতো।
বৈঠকে দিল্লি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জিমগুলোও খুলে দেওয়া হবে।
সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মী উপস্থিতি শতভাগ রাখা যাবে। যেসব মানুষ একা গাড়ি চালাবেন অর্থাৎ গাড়িতে আর কারও উপস্থিতি থাকবে না, তাঁদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই।
ভারতে করোনা শনাক্তের সংখ্যা কমছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়ার এক দিনের মাথায় রাজধানী দিল্লিতে বিধিনিষেধ শিথিল ও স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
ভারতে গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৪ থেকে কমে ১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৩–এ দাঁড়িয়েছে। একই সময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৯ শতাংশ কমেছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, দৈনিক আক্রান্তের হার কমার এ ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে করোনার প্রকোপ কমারই ইঙ্গিত বহন করছে।