উপজেলা প্রতিনিধি (অভয়নগর) যশোর:
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ার অদূরে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে জনবসতি অঞ্চলে গড়ে উঠেছে কয়লার রমরমা ব্যবসা। প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে নতুন নতুন ঘাট, যে ঘাটে দিনরাত সিমেন্ট, সার, লবনের কাচামালসহ হরেক রকম পণ্য নামছে। উন্নত হচ্ছে অঞ্চল তবে ব্যবসা বাড়লেও সাধারন মানুষের ভোগান্তি উঠছে চরমে। এদিকে নদীর চর দখল ও ভাংঙ্গনে নাকাল ভৈরব উত্তরের জনপদ। ৫ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার সকালে সরেজমিনে ফুলতলা উপজেলার ভৈরব নদীর চরে ফুলতলার পূরাতন থানার মন্দির অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, কাদের শেখের ছেলে গোলাম শেখ, ও মৃত ইমানী শেখের ছেলে শহিদ শেখ এবং নাসির শেখ তারা তাদের জমির উপর কয়লার ব্যবসা করতে ঢাকার একটি স্বনামধন্য গ্রুপকে জায়গা ভাড়া দিয়েছে, কয়েক বিঘা জমির উপর কয়লা রেখে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে কয়লার ব্যবসা।দিনরাত জেটির মাধ্যমে কয়লা কার্গ থেকে আনলোড করে ভারি যানবাহনে করে দেশের বিভিন্ন জেলাতে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়িরা। তাতে সৃষ্ট কয়লার ধুলা,গভীর রাতে গাড়ির ডালার শব্দ বিষিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীদের। চরম ভোগান্তিতে সাধারন পথচারি সহ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা। ভৈরব উত্তরের শুভরাড়া খেয়াঘাট, রানাগাতী, ধুলগ্রাম, গোডাউনঘাট, সহ একাধিক খেয়াঘাট ও নদীর তীরবর্তী চরে ব্যাপক ভাংঙ্গন দেখা দিয়েছে তা ছাড়া নদী চর দখলে নিতে একটি পক্ষ রয়েছে ব্যপক তৎপর। ফুলতলার কয়লার ড্যাম্পের পাশে ভুক্তভোগি আসলাম হোসেন বাবু জানালেন, গভীর রাতে ভারি গাড়ীর ডালার শব্দে বাড়ীর বাচ্চারা ভয়ে কেঁপে কেঁপে উঠে।কয়লার দূর্গন্ধে বাড়ীর সবাই শ্বাস কষ্টের রুগি হয়ে গেছে। তাদের কষ্টের বিষয়টা কেহই বিবেচনা করেনি। কয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত আরেক পরিবারের কর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানালেন, তার মা হার্টের রুগি হয়ে গেছে,বাবা শ্বাস কষ্টের,জাহাঙ্গীর নিজে কিডনির রুগি পরিবারের সবাই এখন ঔষুধ,ডাক্তার ও হাসপাতাল মুখি হয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, লবন মিলের পাশে রয়েছে সিমেন্ট ঘাট যেখানে সিমেন্টধুলা উড়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ অঞ্চল বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টির আশায় সাধারণ মানুষ।