নাজমুল শাহাদাৎ জাকির: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক ম-লসহ দুইজনকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী ছয়টি অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সব্বোর্চ এ দ- দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে সাতক্ষীরার শীর্ষ এ দুই জামায়াত নেতার রায়কে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ। রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয় সাতক্ষীরাকে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় নিরলসভাবে কাজ করছেন। শহর থেকে গ্রামের প্রবেশপথে বসানো হয় চেকপোস্ট। সন্দেহ হলেই চালানো হচ্ছে তল্লাশি। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধী মামলার অন্যতম আসামী আব্দুল খালেক ম-লের নিজ এলাকাতে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রায়ের দিনের আগে থাকতে অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনসহ নিয়মিত টহল দিতে দেখা যায়। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
এদিকে মামলার রায়ের পর সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সংগঠনকে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।
এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ দ-প্রাপ্ত দুই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী ছয়টি অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সব্বোর্চ এ দ- দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় এজলাস কক্ষে আসামির কাঠগড়ায় ছিলেন আব্দুল খালেক মন্ডল। অপর দ-প্রাপ্ত আসামি রোকনুজ্জামান পলাতক রয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, ৯ম সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল খালেক ম-ল সাতক্ষীরা-২ আসন (সদর) থেকে চারদলীয় জোটের মনোনয়ন পায়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ অগণিত অভিযোগ রয়েছে আব্দুল খালেক ম-লের বিরুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত হওয়ার দিন বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাকে আটক করে। সে সূত্রে আব্দুল খালেক ম-ল ছিল সাতক্ষীরা কারাগারের প্রথম যুদ্ধাপরাধী বন্দি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত ফিরোজ উদ্দীন গাইনের ছেলে ও যুদ্ধাপরাধী মামলাটির অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ একাত্তরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাবেক জামায়েত নেতা আব্দুল খালেক ম-ল সম্পর্কে জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, পাক সেনাদের ক্যাম্পে নারী সাপ্লাই, বাড়ি দখল, অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে হত্যাসহ বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পৈশাচিকভাবে নরহত্যার মতো অপরাধ করেছে ঘাতক আব্দুল খালেক ম-ল। ভীতসস্ত্রস্ত মানুষ তার উপাধি দিয়েছিল ‘জল্লাদ খালেক’ নামে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিতে ভারতের ডিফেন্স থেকে প্রশিক্ষণে ছিলেন তিনি। ওইসময় মুক্তিযোদ্ধাদের সোর্সরা বিভিন্ন সংবাদ পাঠাতো আমাদের কাছে। ১৯৭১ সালে জামায়াত নেতা আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে কাথন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বৃহৎ আকারে একটা মিটিং করে। ওইসময় খাঁনরা আ’লীগসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে বলেন, যারা আ’লীগ করে তারা বুনিয়াদের মাল। এদের বাড়িঘর সব লুঠ করো। মা-বোনদের ধর্ষণ করো। মিটিংয়ের কয়েক দিন পরেই জামায়াত নেতা খালেক মন্ডলের নেতৃত্বে খাঁনেরা সর্বপ্রথম স্থানীয় গোলাপ রহমানের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে। পর্যায়ক্রমে কাথন্ডার কোমর উদ্দীনের স্ত্রী, একই এলাকার আতর আলীর স্ত্রী, বৈকারীর মুনতাজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও আরও মা-বোনদের ধর্ষণসহ বৈকারীসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষদের হত্যা করে খাঁনরা।’
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী খালেক মন্ডলের মামলার সাক্ষী হওয়ার কারনে বিগত সময়ে আমার ঘরবাড়ি ভাংচুর করে পাকিস্থান হানাদার বাহিনী। আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে প্রাণ সংশয়ে রয়েছি। একারনে তার পরিবারসহ এই মামলার অন্যান্য স্বাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধী খালেক ম-লের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মামলাটির অন্যতম সাক্ষী, বৈকারীর ‘বীরাঙ্গনা’ খ্যাত সফুরা খাতুন (৭৫) বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার কোলে তিন দিনের এক সদ্য ভূমিষ্ঠ মেয়ে সন্তান ছিলো। ওইদিন খালেক ম-লের নেতৃত্বে পাকিস্তানিরা আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। এবং আমাকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। ওইসময় আমার শাশুড়ি আমার কোলের সন্তানকে দেখিয়ে আমার ও আমার স্বামীর মুক্তি চাইলেও পাকিস্তানিদের মন গলেনি। স্বামীকে বাঁচাতে হলে আমার সতীত্ব বিসর্জন দিতে হবে অন্যথায় তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলবে বলে জানায়। স্বামীকে বাচাঁতে তিন দিনের শিশু সন্তানকে রেখে আমি পাকিস্তানিদের সাথে যায়। ওইসময় আমাকে ধরে নিয়ে জনৈক শরিতুল্লাহ সরদারের ঘরে নিয়ে গণধর্ষণ ঘরে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। একপর্যায়ে আমি অচেতন হয়ে পড়লেও তাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পায়নি।’
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ওইসময় নিজের সতীত্ব বিসর্জন দিয়ে আমি আমার স্বামীকে জীবিত উদ্ধার করি। তবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারে আমার স্বামী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। সেই থেকে নিজের স্বামীসহ আমার ১০ সন্তানকে ভিক্ষা করে বড় করেছি। পরবর্তীতে রাজাকার খালেকের বিরুদ্ধে মামলা হলে সেই মামলার ৭নং স্বাক্ষী করা হয় আমাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজাকার খালেকের বিরুদ্ধে আমি স্বাক্ষী দিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি আমার সতীত্ব বিসর্জনও দিয়েছি। তবে আজও পর্যন্ত সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আমার নাম ওঠেনি। বরং আমি রাজাকার খালেকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়ায় জামাত-শিবিররা আমাকেসহ আমার সন্তানদের নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে চলেছে। আজ বাদে কাল আমি আল্লাহর ডাকে চলে যাবো তবে আমার ১০ সন্তানের কী হবে? এলাকার মানুষ তাদেরকে আড় চোখে দেখে। আমি নিজেও সন্তানদের সাথে কথা বলতে লজ্জাবোধ করি। কেননা, আমার সাথে এতোকিছু ঘটে যাওয়ার পরেও সরকার থেকে আমার প্রাপ্য সম্মানটুকুও দেওয়া হয়নি।
এদিকে বৈকারী ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি জল্লাদ খালেকের একাত্তরের আমলনামা সম্পর্কে জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা খলিলনগর গ্রামের লালচাঁদ মন্ডলের ছেলে আব্দুল খালেক ম-ল মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পরপরই রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়। সে পাক সেনাদের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। তারই নেতৃত্বে সীমান্তবর্তী কাথন্ডা গ্রামের আবুল হোসেন গাজীকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। তার সহযোগিতায় এলাকার অসংখ্য নিরপরাধ সাধারণ মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যকে পাক বাহিনীর বৈকারী ক্যাম্পে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হয় তাদের মধ্যে আছেন খলিলনগর গ্রামের মুনছুর আলী সরদার, কাথন্ডা গ্রামের হিমেপান্তি ও বলদঘাটা গ্রামের সামসুর রহমান প্রমুখ। একই এলাকার অহেদকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে খালেক মন্ডল বাড়ি থেকে পাক সেনাদের ক্যাম্পে ডেকে নেয় এবং তারই পরামর্শে পাক সেনারা অহেদকে গুলি করে হত্যা করে। ঘোনার বাঁশিয়াপাড়ার তাহের আলীর ছেলে ভারতে মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিংয়ে যাওয়ার কারণে খালেক মন্ডল ও এক পাক সেনা স্থানীয় দাঁতভাঙা বিল থেকে ধরে নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে। কাথন্ডা গ্রামের শহর আলী দফাদার, মোহর আলী দফাদার, বদরুজ্জামান মল্লিক, আবদুর রাজ্জাক সরদার ও দেলোয়ার হোসেন সরদারসহ ৭জন মুক্তিযোদ্ধাকে খালেক ম-লের নেতৃত্বে পাক আর্মির বৈকারী ক্যাম্পে ধরে এনে উল্টো করে ঝুলিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। সৌভাগ্যক্রমে তারা সবাই বেঁচে যান।
একাত্তরের এপ্রিলে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের পাশে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল জল্লাদ আব্দুল খালেক ম-ল। এই হত্যাযজ্ঞে ভারতে আশ্রয় নেয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে জড়ো হওয়া শতশত নারী-পুরুষ-শিশুকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয় বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি।’
তারা আরও বলেন, তৎকালিন সসাতক্ষীরা শহরের ডায়মন্ড হোটেলের টর্চার সেলে জল্লাদের ভূমিকা পালন করত আব্দুল খালেক ম-ল। তারই নেতৃত্বে সীমান্ত ঘেঁষা বৈকারী, সাতানী, কাথন্ডা ও ভাদড়ায় বহু বাঙ্কার খনন করা হয়। ওইসব বাঙ্কারে ভারতগামী অসংখ্য শরণার্থীকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়া হয়। তাছাড়া খালেক মন্ডলের নির্দেশে বাঙ্কার খুঁড়ার সংবাদটি মুক্তিযোদ্ধাদের জানানোর কারসে খলিলনগর গ্রামের ঈমান আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এদিকে আবদুল খালেক মন্ডলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী মামলার একাধিক সাক্ষীরা জানান, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত হয়। সেদিন সেদিন কদমতলা ব্রিজ সংলগ্ন খালেক মন্ডলসহ ৩ জনকে পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সাতক্ষীরা কারাগারের প্রথম যুদ্ধাপরাধী বন্দি ছিল আব্দুল খালেক ম-ল। কয়েক মাস সেখানে কারাভোগের পর বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার সুযোগে সে মুক্তি পায়।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর মহিলা মাদরাসায় নাশকতার উদ্দেশ্যে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক ম-লকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৭ আগস্ট তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়। ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক ম-লের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক ম-লের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।
এপ্রসঙ্গে যুদ্ধাপরাধী মামলার স্বাক্ষীদের সমন্বয়কারী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আছাদুজ্জামান অসলে বলেন, জল্লাদ খালেক মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ-পরবর্তী হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেছে। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীরা এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা এই রায়ে আনন্দ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে সরকারের কাছে দ্রুত এই রায় কার্যকর করার দাবি করছি। এই রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার মানুষ কলঙ্কমুক্ত হবে।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বলেন, এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’