রাজধানীতে চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী ও ২০১৬ সালে রিজভি হাসান ওরফে বোচা বাবু- এ দুই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে টিপু হত্যার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। টিপুর অন্যতম সহযোগী ছিলেন রিজভী হাসান বাবু। টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ডসহ গ্রেফতার ৪জনের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
টিপু হত্যাকাণ্ডের গ্রেফতার ৪ আসামি হলেন- ওমর ফারুক (৫২), আবু সালেহ শিকদার (৩৮), মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির (৩৮) ও মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্যা পলাশ (৫১)।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার আসামিরা র্যাবকে জানিয়েছে- টিপুকে গুলির পর আসামিরা একজন আরেকজনকে মেসেজ দেয় ‘ইট ইজ ডান’।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসামিরা র্যাবকে জানিয়েছেন- তারা হত্যাকারী ও সহযোগীকে চেনেন না। খুনি ভাড়া করা থেকে শুরু করে এই হত্যাকাণ্ডের সব পরিকল্পনার সমন্বয়কারী হলেন মুসা। হত্যাকাণ্ডের দিন নাছির ও কাইল্যা পলাশ এজিবি কলোনি থেকে টিপুকে অনুসরণ করেছেন। আর ওমর ফারুকও শাহজাহানপুর এলাকায় ছিলেন। টিপুর গতিবিধি তাৎক্ষণিকভাবে মুসাকে জানিয়েছেন তারা। আর মুসা সে আপডেট জানিয়েছেন হত্যাকারীদের। টিপুকে গুলির পর মুসাকে মেসেজ দিয়ে নাছির জানায়- ‘ইট ইজ ডান’।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে দশটায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু। ঘটনাস্থলে একজন নিরীহ কলেজ ছাত্রী নিহত হয়।
নিহত টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা এবং বিশেষ করে একজন কলেজ ছাত্রীর নিহত হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
র্যাবের ব্যাপক তদন্ত এবং গোয়েন্দাদের নজরদারিতে গ্রেফতার হন এ হত্যাকাণ্ডের শুটার মাসুম। এরপর গ্রেফতার হলেন ওই চারজন।