জার্মান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে অগসবার্গ এবং মেইঞ্জের মধ্যে খেলা চলার সময় রেফারি ম্যাথিয়াস জোলেনবেক মুসলিম ফুটবলার মুসা নিয়াখাতেকে রমজানের রোজা ভাঙতে এবং ইফতার কোর সুযোগ দিতে ম্যাচটি বন্ধ করে দেন।
এই প্রথমবারের ইফতারের জন্য বুন্দেসলিগা ম্যাচ বন্ধ করা হয়েছিল। তবে এই উদ্যোগটিকে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে যে, ভবিষ্যতেও এটি করা হবে। ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তারা ইসলামের বিষয়ে অনেক বেশি উদারনীতি গ্রহণ করেছে।
গত শরৎ থেকে জার্মানির পাবলিক স্কুলে ইসলামের পাঠ চালু করা হয়েছে। যেসব স্কুলে
অভিবাসী শিক্ষার্থী বেশি সেখানকার ক্যান্টিনগুলোতে হালাল খাবারের ব্যবস্থা করতে পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছে। মুসলিম নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ‘বুরকিনি’ বা হিজাব পরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মসজিদের লাউডস্পিকার দিয়ে নামাজের আযান দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম দ্য স্পিগেল বলেছে যে, জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলো ইসলামিক প্রার্থনাকে সবুজ আলো দিয়েছে। তুর্কি ব্যাঙ্কগুলোকে জার্মানিতে শাখা খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে যারা শরিয়া পদ্ধতিতে চলে। মুসলিম দম্পতিদের পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে শরিয়া আইন জার্মান বিচারকরা ব্যবহার করেন। খ্রিস্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) থেকে উলফগ্যাং বসবাচ এর নিন্দা করে বলেছে যে, ‘যদিও কেউ এটি করতে চায় না, তবে জার্মানিতে ধীরে ধীরে একটি সমান্তরাল আইনি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
বিল্ডের অন্যতম বিখ্যাত কলামিস্ট, ফ্রাঞ্জ সোল্মস-লাবাচ লিখেছেন যে, ‘যদিও আমরা এখনও এটি বিশ্বাস করতে অস্বীকার করি, জার্মানির পুরো এলাকা ইসলামিক আইন দ্বারা পরিচালিত হয়৷ যদি আইনের শাসন তার কর্তৃত্ব জাহির করতে এবং সম্মান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা অবিলম্বে দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারে।’
বার্লিন সরকার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গাত্মক কবিতার লেখক জার্মান কৌতুক অভিনেতা জান বোমারম্যানের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য তুরস্কের অনুরোধ অনুমোদন করবে। ‘জার্মান রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে’, সিরিয়ান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত জার্মান ইসলামবিদ বাসাম টিবি নিউ জুর্চার জেইতুং-এ লিখেছেন।
এবং টিবি অন্য একটি নিবন্ধে স্মরণ করে, ‘১৯৫০ সালে, প্রায় ৮ লাখ মুসলমান পশ্চিম ইউরোপে বাস করত। ২০১৯ সালে, সেই সংখ্যা হয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ত কোটির মধ্যে। পশ্চিম ইউরোপে মুসলমানের সংখ্যা বর্তমানে ৪৯ লাখ থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে ১ কোটি ৪০ লাখ হবে। এবং জার্মানিতে, মোট জনসংখ্যার অনুপাতে মুসলমানের সংখ্যা ৬ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশে দাঁড়াবে। সূত্র: ইসরাইল ন্যাশনাল নিউজ।