ক্রাইমবাতা রিপোট: সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় মাদ্রাসা ও এতিমখানার সামনে পড়ে আছে কোরবানি হওয়া পশুর চামড়া। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার অধিকাংশ জায়গায় দেখা মিলেনি ক্রেতার। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে চামড়া কিনতে অনীহা প্রকাশ করছেন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। বিশেষকরে ছাগলের চামড়া কিনতে অনীহা তাদের। তবে গরুর চামড়া প্রতি পিচ্ ৯০-১৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়েছে অনেক জায়গায়।
স্থানীয়রা বলেন, কোরবানি হওয়ার পর বাসাবাড়ি থেকে নিয়ে আসা ছাগলের চামড়ার ক্রেতা না পাওয়া তারউপর পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো লোকসানের মুখে পড়বে। আর ক্রেতা না পেলে অন্যবারের মতো এবারও চামড়া ফেলে দিতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা।
সাতক্ষীরা জেলা শহর সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নাম মাত্র দামে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যারা কোরবানি দিয়েছেন এমন অনেককেই বিক্রি করতে গিয়ে দাম না পেয়ে চামড়া নিকটবর্তী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দিতেও দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা পৌর এলাকার রইচপুর, বাঁকাল, সদর উপজেলার খানপুর, আবাদেরহাট, ঘোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গরুর চামড়া প্রতি পিচ্ ৯০-১৫০ টাকা ধরে বিক্রি হয়েছে। তবে যেসব অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ সেসব অঞ্চল থেকে পশুর চামড়া কিনতে অনীহা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আর ছাগল, ভেড়ার চামড়া কিছু জায়গায় ৫-১০ টাকায় বিক্রি করলেও অধিকাংশ জায়গায় এখনও অবিক্রিত রয়েছে।
খানপুর ছিদ্দীকিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন, ‘সারা দিনে কোরবানির প্রায় ৭৫টি ছাগলের চামড়া দান হিসেবে পেয়েছি। কেউ যদি প্রতি পিস চামড়ার দাম ৩-৪ টাকাও দিত, বিক্রি করে দিতাম। গরুর চামড়ার ক্রেতা মিললেও, ছাগলের চামড়ার কোনো ক্রেতাই নেই।
ঘোনা বাজারে কোরবানি পশুর চামড়া কিনতে আসা মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী শাহিনুর ইসলাম বলেন, উপরে কাঁচা চামড়ার চাহিদা অনেক কম। খুব ভালো হলে গরুর চামড়া ৯০-১৫০ টাকায় কিনছি। তবে এবার ভেড়া, ছাগলের চামড়া ক্রয় করছিনা। আর যেসব এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ আমরা সেসব এলাকা থেকেও চামড়া ক্রয় করছিনা।