স্টাফ রিপোর্টার, যশোর :
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়ে যশোর সদরসহ কয়েকটি উপজেলায় মোমবাতি ও মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে চলছে রোগীর সেবা। যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ না থাকায় এবং জেনারেটর চালুর অভাবে মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে চলছে ক্ষত জায়গা সেলাই এর কাজ সহ ইমার্জেন্সি চিকিৎসা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,
যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলেগেলে যেখানে বিরাজ করে এক ভুতুড়ে পরিবেশ। চারিদিকে অন্ধকার শুধু মাত্র মোবাইল এর আলোই যেনো একমাত্র ভরসা।
জেনারেটর থাকলেও তার ব্যবহার নেই! ফলে লোডশেডিং শুরু হলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাসপাতালে ভর্তি সহ সেবা নিতে আসা রোগীদের।
সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধা ৭:৩০ শুরু হয় লোডশেডিং।
রাত ৮:১৫ টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, দেয়াপাড়া এলাকায় গাছ কাটতে গিয়ে দায়ের কোপে হাতের দুটি রগ কেটে যাওয়া তরিকুল ইসলাম (৫০) কে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে মোবাইল টর্চ জালিয়ে। মোবাইলের সামান্য আলোতে
কেটে যাওয়া রগ খুজতে বিড়ম্বনায় পড়েছে চিকিৎসক।
ইমার্জেন্সিতে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক সুস্মিতা বিশ্বাস কে মোবাইলের আলো জালিয়ে এক্সরে পেপার দেখে ব্যবস্থাপত্র দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে দেখা যায়। জেনারেটর বন্ধের কারন জানতে চাইলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুস্মিতা বিশ্বাস জানান, জেনারেটরের জন্য অপারেটর আছে। এটা চালু করার দায়িত্ব তার। আমি এখানে দিন পনের হলো এসেছি। আসার পর থেকে একদিনও জেনারেটর চলতে দেখিনি।
প্রায় আধাঘন্টা ধরে খুজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত জেনারেটর অপারেটর কে। কেউ তার অবস্থান সম্পার্কে জানে না।
যেনো দেখার কেউ নেই। চলতে হবে তাই চলছে।
আরো কিছু সময় অপেক্ষা প্রায় ঘন্টা ছুই ছুই ।
লোডশেডিং শুরু হলেও কেন চালু করা হলোনা জেনারেটর এ প্রশ্নের উত্তর জানতে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরেও অপারেটরসহ কোন কর্মকর্তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।