যশোরে ইসমত সাইদ হৃদয় (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। দুই সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সোমবার (৮ আগস্ট) রাতে ঢাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক হৃদয় বাগেরহাট জেলা সদরের সুন্দরঘোনা গ্রামের ইমন সাইদের ছেলে। তিনি যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতো। ওই নারীর আগের পক্ষের দুই মেয়ে রয়েছে। যাদের ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত লম্পট হৃদয়। আর এ ঘটনায় ইসমত সাইদ হৃদয়কে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
হৃদয়ের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমি খুলনায় প্রজেক্ট ফুডে কাজ করতাম। ওই ফুড কোম্পানির অফিস পিয়ন ছিলো ইসমত সাইদ হৃদয়। আমার সাথে তার প্রেম হয় ও তারপর বিয়ে। আমার আগের পক্ষের মেয়ে আছে ১৭ ও ১৫ বছরের। হৃদয় ও মেয়েদের নিয়ে বাহাদুরপুর বাশতলায় একটি বাড়িতে বসবাস করি। তারপর হৃদয় ইজিবাইক চালায়। আমার অজান্তে হৃদয়ের কু-নজর পড়ে আমার আগের ঘরের দুই মেয়ের ওপর।
তিনি বলেন, প্রায়ই সময় আমার দুই মেয়ের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো। এক পর্যায়ে ফাঁদে ফেলে দুই মেয়েকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। আর ধর্ষণের ছবি মোবাইলে তুলে হুমকি দিতো কাউকে কোনো কিছু না বলতে। সর্বশেষ আমার বড় মেয়েকে বাধ্য করে তোলা নগ্ন ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে জোর করে বিয়ে করে। সব কিছু জানতে পেরে পুলিশকে জানালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ হৃদয়কে আটক ও মেয়েকে উদ্ধার করে যশোরে নিয়ে আসে। এ জঘন্য অপরাধে সাইদ হৃদয়কে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
ভুক্তভোগী মেয়েটি অভিযোগ করে বলে, সব সময় কি একটা খাইয়ে দিয়ে আমাকে অচেতন করতো। এরপর হৃদয় আমার ছোট বোনকেও ধর্ষণ করেছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসআই মতিয়ার রহমান ঢাকার বাড্ডা থেকে ইসমত সাইদ হৃদয়কে আটক করেছে। ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।