সাতক্ষীরার তালায় সাবেক ইউপি মেম্বারে অফিস হামলা ও, মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার তালার তেতুলিয়ায় নির্বাচনী
প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে কথিত হাইব্রিড আ’লীগ পরিচয়দানকারী কর্তৃক একের পর
এক হামলা, ভাংচুর, মারপিট ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে এবং এ থেকে
প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন,
উপজেলার আড়ংপাড়া গ্রামের মৃত মোকাম গাজীর পুত্র ভুক্তভোগী বাবুর আলী
গাজী।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার পিতাকে ১৯৭১ সালে রাজাকারেরা হত্যা
করেছিল। আমি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
এছাড়া তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন কাউন্সিলর। কিন্তু বিগত ২০২১
সালের ২০ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ভোটে আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর
চক্রান্তের কাছে পরাজিত হই। ভোটাররা আমাকে ভোট দিলেও কৌশলে ভোটের ফলাফলে
ইভিএম মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করে। ভোটের কিছুদিন পর ১৭ অক্টোবর ২০২১ তারিখ
গভীর রাতে সেলিম মোড়ল, রুবেল ও ইদ্রিস মোড়ল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে
কাটিপাড়ার মাঠে হামলা করে। সে সময় আমি দৌড়ে কোনক্রমে পালিয়ে জীবনে রক্ষা
পাই। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানায় মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান তারা।
ভোটে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই আমাকে নানাভাবে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে
ওই প্রার্থীসহ তার লোকজন। একের পর এক হামলা, ভাংচুর, মারপিট ও মিথ্যা
মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। এরই জের ধরে গত ১৩ ই অক্টোবর
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালার তেতুলিয়ার আড়ংপাড়া বাজারে স্থপিত আমার
ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বসে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করছিলাম
এসময় সেলিম মোড়লের নেতৃত্বে আড়ংপাড়া গ্রামের আশরাফুজ্জামান রুবেল,
চিহ্নিত চাদাবাজ রাশিদুল ইসলাম শেখ, ডুমুরিয়ার একসময়ের ত্রাশ চিহ্নিত
চাঁদাবাজ মাসুদ পারভেজ ও হাসিবুর রহমান, শেখ শহিদুল ইসলাম, বারী মোড়ল,
সুধখোর সোহরাব মোড়লসহ একদল সন্ত্রাসী আমার অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে
চেয়ার টেবিলসহ প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে। স্থানীয়রা অফিস ভাংচুর
করতে আসা পারভেজসহ তার লোকদের নিষেধ করলে আমাদের মারধরের এক পর্যায়ে
বাজারের জনগন তাদের ধাওয়া দেয় পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে একা
পাইলে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।
তাদের হামলায় আমার কর্মী মোক্তার গাজী, মেহেদী হাসান, আনিস শেখ, সাইদ
শেখসহ ৭/৮ জন আহত হয়। উল্লেখিত পারভেজ গং বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়
ভাবে জড়িত। তারা ভোলপাল্টে এখন হাইব্রিড আওয়ামীলীগ সেজে আমাদের মত প্রকৃত
আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে হয়রানি করে যাচ্ছে। পারভেজের মূলত বাড়ি খুলনা
জেলার ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া গ্রামে। সেখানে অপকর্মের কারনে টিকতে না পেরে
আড়ংপাড়ায় এসে বসতী গড়ে নানান চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া
আশরাফুজ্জামান রুবেলের বাড়িও পাটকেলঘাটা থানার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের হলেও
বর্তমানে তেঁতুলিয়ার আড়ংপাড়া গিয়ে বসতী গড়ে এলাকার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীসহ
সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ওই
আশরাফুজ্জামান রুবেল ও পারভেজ গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ
পূর্বক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##
১৫.১০.২২