ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো হওয়া ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ঝোড়ো হওয়া ও বৃষ্টিতে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দেশের কয়েকটি জেলায় অন্তত ১৬ জনের প্রাণ হারিয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে গাছচাপায়, দেয়ালচাপায় ও নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ভোলায় চার জন, কুমিল্লায় এক পরিবারের তিন জন, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জে দুই জন করে এবং পটুয়াখালী, নড়াইল, বরগুনা, শরিয়তপুর ও ঢাকায় একজন করে মারা গেছেন।
ভারী বর্ষণ আর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই ঝেড়ো হাওয়া আর ভারী বর্ষণ শুরু হয় উপকূলের জেলাগুলোতে।
এর মধ্যে ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে মারা গেছেন চার জন। গাছ ভেঙে পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুই জন এবং নড়াইলের লোহাগড়ায় এবং বরগুনা সদর উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ পড়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় এক নারী মারা গেছেন।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝোড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে। এতে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর মৃত্যু হয়।
সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীতে ট্রলার ডুবে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ঝড়ের সময় ঢাকার হাজারীবাগেও দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।