জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমানকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর তার ছেলে ডাক্তার রাফাত সাদিককে যে মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়, সেই একই মামলায় শফিকুর রহমানকেও গ্রেফতার দেখিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মিন্টো রোড ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমেকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজ ভোরে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমানকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ নভেম্বর ডা. শফিকুর রহমানের ছেলে ডাক্তার রাফাত সাদিককে তার এক সহযোগীসহ সিলেট থেকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। এরও আগে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার তিন সদস্যকে যাত্রবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ডাক্তার রাফাত সাদিকের নাম পাওয়া যায়।
আসাদুজ্জামান বলেন, ২০২১ সালের জুন মাসে ডাক্তার শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জঙ্গি প্রশিক্ষণ থেকে ফেরত আসে তার ছেলে রাফাত। পরে রাফাত তার সহযোগীদের চট্টগ্রাম থেকে সিলেট ও ঢাকায় ফিরিয়ে আনে। তবে সিলেটের বাসায় রাফাত তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় দাওয়াতি কাজ করতো। এ বিষয়ে ডাক্তার শফিকুর রহমান জানতেন।
সিটিটিসি প্রধান আরও দাবি করেন, বান্দরবানের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় কুকিচিনের ক্যাম্পে রাফাতের যাওয়ার পেছনে সমর্থন ছিল তার বাবা শফিকুর রহমানের। বিষয়টিতে সম্পৃক্ততা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে জঙ্গিদের কোনও কানেশন আছে কিনা তা জানা যায়নি। সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জামাতের আমিরকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তাকে রিমান্ডে নিলে বিস্তারিত জানা যাবে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) রিমান্ডের আবেদন করেছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি ইউনিট। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, কোন মামলায় জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।