আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকা আমাদের রপ্তানি পণ্যের অন্যতম ক্রেতা এবং অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী দেশ। র‌্যাব বা নির্দিষ্ট একটা ইস্যু নিয়ে একটা দেশের সঙ্গে সম্পর্কের মূল্যায়ন হয় না। আমাদের সঙ্গে তাদের নানা ধরনের বিষয় জড়িত। শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক সংগঠন পিস রান কর্তৃক আয়োজিত “পিস রান বাংলাদেশ ৬-১০ জানুয়ারী-২০২৩” শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিলে দৌড়ের ক্যাপ্টেন অর্পন ডি এঞ্জেলো, শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের নীতিগত মিল রয়েছে। আমেরিকা গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতে চায়, আর আমাদের দেশে গণতন্ত্র বিরাজমান। তারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় আর আমাদের দেশের ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে শুধু মানবাধিকার অর্জনের জন্য। সম্প্রতি আমেরিকান মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মহাসচিব বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। আমরা তার সফরকে স্বাগত জানাই।

 

উনি আসলে নানাবিধ বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। আশা করি তার সফরের মধ্যে দিয়ে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও উন্নতি হবে।
মিয়ানমার ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, আমরা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে চাই। তাই আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা যাবে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান আমরা শান্তিপূর্ণভাবে চাই। ইতোমধ্যেই পানি চুক্তি, সীমান্ত চুক্তি অথবা সমুদ্রসীমা নির্ধারণ-সব সমস্যার সমাধান আমরা শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। একটা বুলেটও ছোড়া হয়নি।

বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা জানুয়ারি আমরা আমাদের ৮২টি বিদেশী মিশন প্রধানের সঙ্গে বসেছি। তারা কি চায় আমরা জানতে চেয়েছি এবং তারা কিভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে পারে তাও জানতে চেয়েছি।

মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা চাই সম্পদের দক্ষ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ উৎপাদন এবং সন্তোষজনক সেবা নিশ্চিত করতে। সম্পদের স্বল্প খরচ করে মানুষের মঙ্গলের জন্য সবচেয়ে বেশি কিভাবে অর্জন করা যায়, সে ব্যাপারে তারা যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা করতে পারেন, তাহলে তা করতে আমরা অনুরোধ করেছি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতির তিনটা প্রধান নীতি সম্পর্কে আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি। তা হলো- বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা এবং মানুষের আরও বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। আমারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং এগুলো অর্জনের জন্য যা যা করা দরকার, সে ব্যাপারে আমরা তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছি।

Check Also

আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।