পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার

গাবুরা (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, খুলনা এর আওতাধীন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ি ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন পর্যটকরা আসছেন দলবেঁধে। ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ, সড়ক পথে সুন্দরবন’ এ স্লোগান এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সড়ক পথে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ হয়ে বুড়িগোয়ালিনী খেয়াঘাট থেকে কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজমে পৌছুলেই এক ঝাঁক বানর ছুটে এসে স্বাগত জানায় পর্যটকদের। এরপরই দেখা যায়, কিছু হরিণ আশপাশেই ঘোরাঘুরি করছে। এছাড়াও আছে শ্বাসমূলে ভরা গেওয়া, গরান, বাইন, পশুর, গোলপাতা, হোগলাপাতাসহ মোট ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ। রয়েছে কুমির, মদন টাকসহ হাজারও প্রাণবৈচিত্র্য।
আর এসব উপভোগ করতে শীতের শুরু থেকেই পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। সুন্দরবন সংলগ্ন জেলা সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে এখানে। মেতে উঠছে সুন্দরবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারের ওয়াচ টাওয়ারে উঠে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। কেউ বানরের সঙ্গে খেলায় মত্ত, কেউবা ছবি কিংবা সেলফি তুলেই হারিয়ে যেতে চান প্রকৃতির মাঝে। সব থেকে মজার হলো মায়াবী, শিংওয়ালী হরিণ সব আপনার পিছু পিছু ঘুরতে থাকবে যদি কিনা হাতে মুড়ি চিপস এ ধরনের খাবার থাকে, হরিণগুলো খুব বেশি সুন্দর আর মায়ামৃগ। লোকালয় থেকে বেশ দূরে বনের ভেতরে এই ট্রেইল এবং টহল ফাঁড়ি তাই এখানে শুনশান নিস্তব্ধতায় ছেয়ে থাকে চারপাশ। তবে সব নীরবতা ভেঙে বানরের ডাক আর ভেঙচি কাটা যেন ভয়ের সঞ্চার করে। ট্রেইলের আশপাশে এত ঘন বন যে দৃষ্টিসীমা নেমে আসে কয়েক গজে আর সঙ্গে তো বাঘের ভয় আছেই, সে এক অন্যপ্রকার অনুভূতি, ভয়জড়ানো অ্যাডভেঞ্চার।
খুলনা থেকে পরিবারের সাথে আসা শিশু পর্যটক শাহিনুর রহমান জানায়, বনের বানরের সাথে খেলা করতে পেরে সে বেজায় খুশি। বানরের খাবার খাওয়াতে পেরে আনন্দে আটখান। অপর পর্যটক শিমু আফরিন জানান, সাগর কোলে গাছ ঘেরা সুন্দরবনের নান্দনিক দৃশ্য তাকে বারে বারে কাছে টানে। আবেগ উজাড় করে সে জানায়, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।’
তবে জোয়ারের সময় সমস্যা না হলেও ভাটির সময় উঠতে-নামতে কাদা মাখতে হয় বলে অনেকেই দু:খ প্রকাশ করেন। পর্যটকরা বলেন, ঘাটের পাটাতন সংস্কার করা জরুরী।

Please follow and like us:

Check Also

২৮শে এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারেও ক্লাসের পরিকল্পনা

আগামী ২৮শে এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।