কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে কিংবা তার ডেপুটি দেবেন্দ্র ফর্ণবিশের এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার দায় নেই। কারণ তারা ভিভিআইপি। তাদের মঞ্চের ওপর ছিল আচ্ছাদন, ছিল পাখা, বস্তানুকূল যন্ত্র। কিন্তু ঠা ঠা পোড়া রোদ্দুরে যে দর্শকরা মাথার ওপর বিনা আচ্ছাদনে বসে রইলেন সকাল ৮টা থেকে ১টা, তাদের কি হলো? হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের, অসুস্থ প্রায় ৬০০। মুম্বইয়ের রায়গড়- খারগড়ের ঘটনা। এদিন এক অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার তুলে দেয়া হয় আপা সাহেব ধর্মধিকার রাও এর হাতে। লাখ খানেক লোক সমাগম হয়েছিল, সেখানেই এই বিপত্তি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হিট স্ট্রোকে সর্দি-গর্মীতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অসুস্থ প্রায় ৬০০। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অমিত শাহ, শিন্ডে, ফরণবিশরা বলতেই পারেন- কে ওদের মাথার দিব্যি দিয়েছিলো অনুষ্ঠানে আসার জন্য!
সবিনয় জিজ্ঞাসা অমিত শাহ দের- আপনাদের মাথার ওপর আচ্ছাদন ছিল, দর্শকদের কেন খাড়া রোদে বসতে হয়েছিল? ঠিক কথা, কেন ওরা এসেছিলেন! কিন্তু ওরা না এলে কি পেটের ভাত হজম হতো রাজনীতিকদের? হাততালির শব্দ না পেলে কি সুখনিদ্রায় ব্যঘাত ঘটতো না! অনুষ্ঠান শেষে আপনারা ফিরে গেছেন নিজেদের বাতানুকূল কক্ষে, এই ‘গরু-ছাগলগুলোর’ মধ্যে ১১ জন নিথর শবদেহে পরিণত হয়েছে। অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছে। প্রথা মাফিক তদন্ত ঘোষিত হয়েছে। নিহতদের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু দায় কি এড়াতে পারেন অমিত শাহরা? তবে, ‘গরু ছাগলের’ মৃত্যুতে কারই বা দায় !