বর্তমান ‘সরকারের সময় শেষ’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী আজকে যতই চিল্লা-চিল্লি করেন, যতই জাপান, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা আর সৌদি আরব, কাতার ও চীনে যান- কোনো লাভ হবে না। সময় শেষ। এটাই বাস্তবতা। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে জনসমাবেশে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
সরকারের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, এখনও সময় আছে জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। জনগণকে মুক্তি দেন এবং জনগণের যে দাবি উঠেছে সেই দাবি মেনে নেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, উপর থেকে নেমে আসুন। এই গণভবন থেকে বের হন, পাইক-পেয়াদা, এসএসএফ, সোয়াত এগুলো বাদ দিয়ে এই মানুষের সামনে এসে দাঁড়ান। দেখুন তারা কি বলে । মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানুষ আর বাঁচতে পারছে না।
সরকারি কর্মচারি-কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন অন্যায়ভাবে কোনো কিছু করবেন না, যা জনগণের বিরুদ্ধে যায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই, এই সরকার দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে। এখন দেশের মানুষসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব চায় বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু, সঠিক, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। সেটা তারা জানেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সম্ভব হবে না। তাই বলতে চাই, আপনারা দয়া করে এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যেখানে আপনারাও চিহ্নিত হয়ে যাবেন।
সরকার মরণ কামড় দিচ্ছে উল্লেখ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। তারা এই শেষ সময়ে টিকে থাকার জন্য মরণ কামড় দিচ্ছে। মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলা দিচ্ছে। কোন দেশে আমরা বাস করি? হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয়, সেই জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে গেলে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। কোনো ঘটনাই ঘটেনি অথচ মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছেন। আজ খুলনায় আমাদের সমাবেশে গুলি হয়েছে। গুলি করে আমাদের জনগণের এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না।তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না এমন হুশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ওরা বলে কি- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি কবরে চলে গেছে, বিলিন হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনারা (আওয়ামী লীগ) যখন চেয়েছিলেন তখন ছিল এটা ভালো.. সেদিন তো শেখ হাসিনা আপনি বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনটাই মানবেন না। আজকে আমাদের পরিস্কার কথা- এদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য, নিজের ভোট নিজে দেবার জন্য এবং ভোটের রেজাল্ট ঘরে আনার জন্য- বিএনপিও তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন মানবে না।