সমাবেশের অনুমতি পেলো না জামায়াত, রাজধানীতে পুলিশের কঠোর অবস্থান

জামায়েত ইসলামীকে সোমবার (৫ জুন) রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)।

তিন দাবিতে আজ (সোমবার) বায়তুল মোকাররমে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দলটি। এজন্য পুলিশের অনুমতি পেতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছিল তারা। কিন্তু অনুমতি দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

জামায়াত যাতে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য বাইতুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় সকাল থেকেই কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার অফিস খোলা থাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

গতকাল রোববার (৪ জুন) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “সোমবার অফিস-আদালত খোলা। মানুষ অফিসে যাবে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে কর্মদিবসে নাগরিকদের যেকোনো ধরনের দুর্ভোগ এড়াতে, জনস্বার্থে তাদের (জামায়াতকে) রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে সমাবেশ করতে চায়, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করে কেউ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে গত ২৮ মে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জামায়াতের আমিরের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ৫ জুনের এ বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জামায়াত।

এদিকে, পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় সংঘাত এড়াতে আজকের কর্মসূচি স্থগিত করেছে জামায়াত।

দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, জামায়াত শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দল। তাই সংঘাত এড়াতে কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসন যেহেতু বলেছে কর্মদিবসে নয়, ছুটির হলে তারা অনুমতি দেবে। তাই আমরা আজকে কর্মসূচি থেকে বিরত থেকে ছুটির দিনে বিক্ষোভের অনুমতি চাইবো।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন,  ‘আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য নিবন্ধন জরুরি নয়। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল করার জন্য নিবন্ধন কিংবা অনুমতির প্রয়োজন নেই। এই সমাবেশে বাধা দেওয়া মানে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা দেওয়া, গণতন্ত্রের পথে বাধা দেওয়া।’

তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন যদি নাগরিক এবং সাংবিধানিক অধিকার মেনে চলে তাহলে জামায়াতকে পরবর্তী কর্মসূচি পালনে বাধা দেবে না।

জামায়াত নেতারা বলছেন, পুলিশের থ্রেটে নয়, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মসূচি পেছানো হচ্ছে। আজকে কর্মসূচি পালনে সবধরণের প্রস্তুতি জামায়াতের ছিলো।

গত সোমবার জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল বিক্ষোভের অনুমতি চাইতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে গিয়ে আটক হয়েছিল। যদিও কিছু সময় পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।