বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট কার্যকর নেই, কিন্তু আমরা আন্দোলনে আছি: ডা. তাহের

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট এখন আর কার্যকরী নেই, কিন্তু আমরা সরকার বিরোধী আন্দোলনে আছি। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেছেন। জামায়াত দলীয় সাবেক এই এমপি বলেন, সভা-সমাবেশ করা তো আমাদের রাজনৈতিক অধিকার। গত ১০ বছর ধরে আমাদের প্রকাশ্যে কোন সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। । তাদের (সরকারের) হয়তো সেই বোধোদয় হয়েছে, তাই এখন অনুমতি দিয়েছে। এর অন্য কোন কারণ আছে বলে আমরা মনে করি না।

এ প্রসঙ্গে লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি মনে করে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জামায়াতকে ছাড়াই জিততে পারবে। তবে ইসলামিস্ট যেসব শক্তি আছে, বরাবরই দেখা গেছে, তারা বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল। ফলে জামায়াতের সাথে বিএনপির কী ধরনের আলোচনা হচ্ছে সেটা জানি না। কিন্তু নির্বাচনের এখনো বাকি আছে।

বিজ্ঞাপন

জামায়াত রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠলে কী ঘটবে, এখনি বলা কঠিন। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায়, জামায়াত যেন বিএনপির সঙ্গে না যায়, তাদের সঙ্গে আসুক আর নাই আসুক। তারা জামায়াতকে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। এক্ষেত্রে নেপথ্যে হয়তো কোন আলোচনা হতে পারে, বলেন মি. আহমদ।

পাঠকের মতামত

মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
আঃলীগের এখন পর্যন্ত এজেন্ডা হলো বিএনপি কে নির্বাচনের বাহিরে রাখা, সেই হিসাবে তারা এবার শুধু জাতীয় পার্টি কে নিয়ে ভোট করবে না, তাদের দলীয় স্বীদ্ধান্ত জাতীয় পার্টি বাদে আরো কিছু দল যেমন কাদের ছিদ্দিকি, নুরুল হকের পার্টি, জামায়াত কেও যদি সরকার এই প্রকৃয়ায় নিয়ে আসে সরকার আচার্য হবার কিছুই নাই। কারণ অতিতেও জামাত আঃলীগ প্রেম করেছে, ৯৬ সাল একবার যার খেসারতও দেয় তারা বিএনপির সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়েছে। ৯ সালের ভোটে আঃলীগের সাথে গোপন আতায়াত করে বিএনপি কে ভোট নিয়ে যায় যার খেসারত পুরো দেশ এখনো দিচ্ছে। মুজাহিদ কে জোট প্রার্থী না দিলে আঃলীগের সাথে ভোট করবে বলে বেগম জিয়া কে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। যার বদলতে বিএনপির ক্ষতি যা হবার হয়েছে। এই ক্ষতি শুধু বিএনপি নয় পুরো দেশ আজ ক্ষতিগ্রস্ত হলো। বেগম জিয়ার একটি বক্তব্য আজ সত্যি প্রমানিত হলো তিনি ভাল না থাকলে বাংলাদেশ ও ভাল থাকে না যা আজ সারা বাংলাদেশের মানুষ হাঁড়ে হাঁড়ে উপলব্ধির করছে। আর জামাত তার আঃলীগ প্রেম মাঝ খানে কতগুলো নেতা কে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। তাই বলবো যদি আবার প্রেম করেন তাহলে সবচেয়ে ব্যক্তিগত ক্ষতি আপনাদেরি বেশি হবে ইতিহাস তাই বলে। আর বিএনপির ক্ষতি মানেই বাংলাদেশের ক্ষতি তাই বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির পাশে আছে থাকবে ইনশাআল্লাহ। যদি আঃলীগ প্রেমে না পড়েন তাহলে তাদের কথায় আপাতত মিছিল মিটিং করবেন না। দেশি বিদেশি শক্তি কে মৌলবাদী উৎস্থান হচ্ছে বলে বিএনপির উপর দোষ দিবার সুযোগ করি দিয়েন না। আর একটু সময় অপেক্ষা করুন তার পর মাঠে নামে দেশের ভাল চাইলে। না হয় আঃলীগের সাথে ভোট করবেন স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে নামুন এতে অন্তত জনগন ৯ সালের মত আপনাদের পাতানো ফাঁদে পা দেবে না।

আব্দুল ওয়াজেদ মুন্সী
১২ জুন ২০২৩, সোমবার, ১:৪৯ পূর্বাহ্ন
জামায়াত ১৯৯৬ এর আবারও আওয়ামী লীগের সাথী হবে নিশ্চিত ।

Titu Meer
১২ জুন ২০২৩, সোমবার, ১:২৬ পূর্বাহ্ন

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।