সীমাহীন লুটপাট, অর্থ পাচার ও অব্যবস্থাপনার ফলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
জামায়াতের এই দুই নেতা বলেছেন, দেশবাসী এবার ঈদুল আযহা এমন একটি পরিস্থিতিতে উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, দুর্নীতি, হত্যা, গুম, খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি সমাজ জীবনকে অতিষ্ট করে ফেলেছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃদ্বয় একথা বলেন। বিবৃতিতে সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, শোষণমুক্ত ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানান।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। মানুষের জীবনযাত্রা এক ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। অথচ রাতের ভোটে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের এদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।’
‘আমরা লক্ষ্য করছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বর্তমান সরকার ও বিরোধীদলসহ দেশের জনগণ বিপরীত অবস্থানে রয়েছে। সরকার আবারো জোর করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থেকে একতরফা ব্যালট ডাকাতির নির্বাচন করার পরিকল্পনার কারণে দেশ এক কঠিন পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
জামায়াতের দুই নেতা বিবৃতিতে বলেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মানুষ সরকারের কোনো নীল নকশা আর বাস্তবায়ন হতে দেবে না। সকল রাজনৈতিক দল ও মতের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে দেশে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটি অবাধ, নিরেপক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। ইনশাআল্লাহ।’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের বিরোধী মতকে দমন পীড়ন নীতির কারণে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ আলেম ওলামারা কারাগারে বন্দি রয়েছে। আমরা পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বেই তাদের এসব বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।’