মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের হরিশপুর কয়রাবিল মাঠে বিশাল ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০১ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের হরিশপুর কয়ারবিল মাঠে মো. আব্দুস সবুর এর নেতৃত্বে হরিশপুর ও চুপড়িয়া যুব সংঘের আয়োজনে আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার গ্রাম হবে শহর। সেলক্ষ্যে শহরের সেবা গ্রামে পৌছে দিতে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও বিনোদন দেয়ার জন্যই ঘোড়া দৌড় আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান এমপি রবি।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাহফুজুর রহমান, বাঁশদহা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মো. মফিজুর রহমান, শিবপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মাষ্টার মো. রেজাউল করিম, রাজশাহী ইউনির্ভাসিটির সহকারি রেজিষ্টার (প্রশাসন) মো. আজিজুল হক ডেভিড, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আমিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. কামরুল ইসলাম, শেখ সাহেদ, মো. আবু জাফর, মো. সাইদুজ্জামান, মো. আশারুল ইসলাম আশা, মো. মুকুল হোসেন, মো. মাসুদ রানা, মো. আবুল হাসান, মো. হিলাল হোসেন, মো. শাহাজান আলী, মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
দীর্ঘ দিন পরে ঘোড় দৌড় দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় করেন কয়ারবিল মাঠে। হরিশপুর কয়ারবিল মাঠে বসে গ্রামীণ মেলা। দীর্ঘ দিন পরে ঘোড়ার দৌড় দেখতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আবাল-বৃদ্ধ বনিতা ছুটে আসেন। দুপুর থেকেই ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ভিড় করেন সদর উপজেলার আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের হরিশপুর কয়ারবিল ফসল শূন্য মাঠে। সবার দৃষ্টি ঘোড়ার দৌড়ের দিকে ও আগ্রহ ছিল ব্যাপক। নারী-শিশু-বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের মিলন মেলায় পরিণিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশনেয় ১২টি ঘোড়া। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারীকে পুরস্কার দেওয়া হয় ১টি গরু, ২য় পুরস্কার ১টি ছাগল, ৩য় পুরস্কার ১ রাইসকুকার, ৪র্থ পুরস্কার দেওয়া হয় ১টি মোবাইল সেট এবং অংশগ্রহণকারী সকল ঘোড়া ওয়ালাদের দেওয়া হয় সান্তনা পুরস্কার। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও বিনোদন দেয়ার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তুজুলপুর জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …