ইসির ক্ষমতা হ্রাস সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে ঝুঁকিতে ফেলবে: সুজন

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী বিল পাসের সমালোচনা করে সুজন বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার সাংবিধানিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এই দায়িত্ব পালন করতে হলে, ইসিকে স্বাধীনভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস করা সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে বলে আমরা মনে করি। এছাড়া এই সংশোধনী নির্বাচন কমিশনকে আরও আস্থার সংকটে ফেলবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে একটি ক্ষমতাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে। বুধবার সুজন সভাপতি হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলমের সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচনের দিন কোনও কেন্দ্র বা আসনের ভোট বন্ধ করাসহ তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের যেকোনও পর্যায়ে যেকোনও নির্বাচনি এলাকার নির্বাচন স্থগিত ও ফলাফল বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) যে সংশোধনী পাস করা হয়েছে, তাতে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে। সকল দলের অংশগ্রহণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে কি না, তা নিয়ে আমরা যখন সংকটে নিমজ্জিত, তখন এই ধরনের একটি উদ্যোগ এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে, যা কোনো সচেতন নাগরিকের কাম্য নয়।

এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন থেকেই ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করার বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য একটি উপধারা যুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। অথচ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৯১ (ক) ধারায় বলা ছিল- কমিশন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতি-প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সঙ্গত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করিতে সক্ষম হইবে না, তাহা হইলে ইহা যে কোনো ভোট কেন্দ্র বা ক্ষেত্রমত, সম্পূর্ণ নির্বাচনি এলাকায় নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধ করিতে পারিবে।

৯১ (কক) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ভোটকেন্দ্র বা সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকার ফলাফল প্রকাশ স্থগিত করিতে পারিবে, যদি কমিশন নিশ্চিত হয় যে, সেই ভোট কেন্দ্র বা পুরো নির্বাচনী এলাকার ফলাফল বল প্রয়োগ, হুমকি, কারসাজি বা অন্যকোনো অসদাচরণ দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ হইয়াছে এবং প্রয়োজনীয় সময়ের মধ্যে দ্রুত তদন্ত শেষে সরকারি গেজেটে পুরো নির্বাচনী এলাকার ফলাফল প্রকাশের নির্দেশনা দিবে অথবা নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রের বা পুরো নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন বাতিল পূর্বক নতুন করিয়া নির্বাচন করিতে পারিবে। এছাড়াও উচ্চ আদালতের রায়েও গেজেট প্রকাশের আগ পর্যন্ত নির্বাচনি ফলাফল বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে প্রদান করা হয়েছে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।