সরকার পতনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনরত দলগুলোর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কোনো ক্ষতি করলে ছাড় দেয়া হবে না, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে। আজ দুপুরে আখাউড়া-লাকসাম ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রেলপথ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের দুঃশাসন ও অপকর্মের কারণে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ। বিএনপি সন্ত্রাসী দল; ধ্বংস করা, আগুন নিয়ে পুড়িয়ে মারা হলো বিএনপির আন্দোলন। মানুষের কোনো ক্ষতি করলে ছাড় দেয়া হবে না, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই এ কাজগুলো করা সম্ভব হবে। এটা জাতীয় সম্পদ, এটা জনগণকে রক্ষা করতে হবে। জনগণকে বলব, সন্ত্রাসী বিএনপি জামায়াতের হাত থেকে যেন নিজেদের রক্ষা করে, কারণ তারা ধ্বংস করতে জানে, এরা সৃষ্টি করতে জানে না, এরা ধ্বংস করতে জানে, এরা কিছু দিতে জানে না। তবে বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত যেন এই রেলের ক্ষতি করতে না পারে সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই রেল লাইন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী পতাকা নাড়ালে অপর প্রান্তে ট্রেন চলতে শুরু করে। সেসময় তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন ঘোষণা করছি।
ট্রেন চালকদের সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধনের পর এই লাইনে ট্রেনের গতি হবে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার। এই লাইনে রেলের গতি এনে দিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
চালকদের সতর্ক থাকতে হবে যেন একটু সাবধানে চালায়, কোন জায়গায় কতটুকু দ্রুত গতিতে চলবে, সেটা ভাবতে হবে।
এটি আধুনিক ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন, এর মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম সবটুকু লাইনই ডবল লাইনে উন্নিত হল। এতে করে যাত্রীরা আরাম আয়েশে চলতে পারবে। পরিবহন কষ্টও কমে যাবে, আগের চেয়ে এক ঘণ্টা সময় কম লাগবে। কক্সবাজার পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে, ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারবে।