কে এল না এল তা নয়, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: সিইসি

ভোট যদি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয় তাহলেই তাকে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ বলা যায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেন, ‘নির্বাচনে কে এল আর কে এল না, তা নয়; জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে আসেন এবং নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তাহলে নির্বাচনের একটি বড় সফলতা অর্জিত হয়ে যাবে।’

ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন সিইসি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার বিভাগীয় কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা অনুষ্ঠানে সিইসি একথা বলেন। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

সিইসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ১২শ নির্বাচন করেছি। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা পেয়েছি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন।’

‘প্রশাসনে বা সরকারে পুলিশ ও নির্বাহী পরিষদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। সরকার বলতে আমরা ডিসি ও পুলিশকে বুঝি। কাজেই আপনাদের চিত্তে ধারণ করতে হবে যে আপনারাই সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। কারণ ছোট্ট যে সরকারটা পড়ে আছে কেবিনেটে, ওটার সঙ্গে আমাদের জনগণের সংশ্রব ওভাবে হয় না।’

ডিসি-এসপিদের এত গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া ভাগ্যের পাশাপাশি গুণের ব্যাপার মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। আপনারা কোয়ালিফাই করে এই দায়িত্ব পেয়েছেন। এটি অহংকারের নয়, সন্তুষ্টি প্রকাশ করার বিষয়।’

নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। তবে তা চাইলাম হইয়া গেল এরকম নয়। আপনারা যারা ডিসি-এসপি এবং আপনাদের সহকর্মীদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু এই দায়িত্ব আপনাদের এবং আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে। কাজেই দায়িত্বটা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।’

‘নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার অর্থ নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনটা ফেয়ার হয়েছে এটা জনগণকে দেখাতে হবে। জনগণকে দেখাতে হবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে।’

সিইসি বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যদি আমরা জনগণকে দেখাতে পারি, কে নির্বাচনে এল, কে এল না, জনগণ যদি আসেন, ভোটাররা যদি আসেন, তারা যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, তাহলে নির্বাচনে বড় সফলতা আসবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।