শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পাঁচ নম্বর পোল্ডারের আওতাভুক্ত উপকুল রক্ষা বাঁধের একটি অংশ দেবে যাওয়ায় এলাকাজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। দু’দিন ধরে একটু করে ফাটল দেখা দেয়ার পর শুক্রবার বিকালে আকস্মিকভাবে দেবে যায় উপজেলার ভামিয়া এলাকার ওই বাঁধ। প্রায় তিন দশক পুর্বে কারিতাসের উদ্যোগে সেখানে নির্মিত ¯øুইসগেট ভাঙনমুখে থাকা সত্তে¡ও মেরামত না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের দাবি দ্রæত সময়ের মধ্যে দেবে যাওয়া বাঁধের মধ্যে থাকা ¯øুইচগেট সংস্কার করা না হলে তদসংলগ্ন এলাকার প্রায় সাতশ বিঘা জমির চিংড়ি চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে দেবে যাওয়া অংশের ভাঙন ভয়ংকর আকার নিয়ে বিস্তীর্ন এলাকাকে প্লাবিত করার শংকা রয়েছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তারা করনীয় নির্ধারণ করবেন।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ভামিয়া গ্রামের ডালিম কুমার ঘরামী জানান গত বুধবার থেকে ওই অংশের বাঁধ একটু একটু করে নিচু হতে থাকে। টানা দু’দিন একটু একটু করে নিচু হওয়ার এক পর্যায়ে শুক্রবার বিকালে সেখানে ব্যাপক গর্তের সৃষ্টি হয়। আকস্মিকভাবে দেবে যাওয়া অংশে থাকা ¯øুইচগেটের মধ্যভাগের মাটি সরে যাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় বুড়িগোয়ালীনি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান তিন দশক পুরানো ¯øুইচগেট দীর্ঘদিনে সংসআর করা হয়নি। সেখানকার রক্ষনাবেক্ষন ব্যবস্থায় ব্যাপক গাফিলতি থাকার কারনে হঠাৎ ¯øইচগেটের মধ্যকার মাটি সরে যেয়ে বাঁধ দেবে গেছে। তিনি আরও বলেন, নদীতে পানির চাপ না থাকায় দেবে যাওয়া অংশ দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশের ঝুঁকি নেই। তবে আকস্মিক নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে দেবে যাওয়া অংশের ¯øুইচগেটসহ পাশর্^স্থ বিশাল অংশের বাঁধ নদীতে বিলীন হওয়ার ভয় রয়েছে।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, বিষয়টি তারা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়েছেন। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভালভাবে সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …