আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর দুদিন পর আগামী রোববার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে তারা।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুমের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে।
জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার আদেশ ও ফরমায়েশি একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে এই অবরোধ। আর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর (রোববার) জেলায় জেলায় মানববন্ধন করবে জামায়াত।
বিবৃতিতে এ টি এম মা’ছুম বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ‘ফরমায়েশি’ তফসিল ঘোষণা করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন মূলত দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় লোকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে এবং ডামি প্রার্থী ঘোষণা করে সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিজেদের দলীয় নির্বাচনে পরিণত করেছে।
এভাবে তালগোল পাকিয়ে, জোড়াতালি দিয়ে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও বৈধ করার অপচেষ্টা গণতন্ত্রের প্রতি প্রহসন ও হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয় বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া কোনো রকম শুনানি ছাড়াই জামায়াতের নিবন্ধন–সংক্রান্ত আপিল মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে এটিএম মা’ছুম বলেন, এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বাকশালি চরিত্রই ফুটে উঠেছে।
সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জামায়াতসহ বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। গণগ্রেপ্তার চালিয়ে সারা দেশে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে। বিবৃতিতে তিনি এই গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে দলটি বিভিন্ন দাবিতে বেশ কয়েক দিন অবরোধ ও হরতাল পালন করে।