নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। তাদের সঙ্গে আমাদের নানারকম অর্থনৈতিক এবং আঞ্চলিক সর্ম্পক রয়েছে। তবে বিদেশিদের সব পরার্মশ আমরা নেই না। যে পরামর্শ আমাদের জন্য ভালো হয়; তা আমরা বিবেচনা করতে পারি। তাদের দাবি অনুযায়ী আমরা সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এটাই তাদের দাবি। আমরা সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচন আর পেছানোর সুযোগ নাই। আগে সুযোগ ছিল এখন আর নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নাই।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সব কথা সবার সঙ্গে বলা যায় না। যেমন স্বামী-স্ত্রীর কথাও সবার সঙ্গে বলা যায় না। তেমনি সব কথা এই মুহূর্তে সবার সঙ্গে বলা যাবে না। এর আগে মতবিনিময় সভায় বলা হয়েছে- কেন্দ্রে যাতে প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্ট থাকে। ভোট গ্রহণ শেষে স্ব-স্ব কেন্দ্রে সবার সামনে ফলাফল ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ইউএনও এবং ওসিদের কাছাকাছি স্থানে বদলির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত তারা স্থানান্তর হতে পারেন। গণমাধ্যমকর্মীরা কেন্দ্রের ভেতর সর্বোচ্চ ১০ মিনিট অবস্থান করতে পারবেন। কক্ষের বাইরে থেকে লাইভ সম্প্রচার করা যাবে। সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, সেনাবাহিনী নিয়োগের এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অতীতে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। এবারো সেনাবাহিনী নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আলমগীর।