নির্বাচন বর্জন ও ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ এবং শনিবার (৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী আগামী রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘২০২৪ সালের শুরুতেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় রায় ঘোষণার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছে। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের মধ্যে ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি, গ্রেপ্তার ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার নূরুন্নবী, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার আমির আবুল বাশার বসুনিয়া ও নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আমির মাওলানা আবুল কালাম আযাদসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাঁদের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি।আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের তাণ্ডবতায় অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সরকার তার সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করেছে।’
এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলসমূহ প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছেন। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকেরই ভোট দেওয়া বা না দেওয়ার অধিকার আছে। আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। ভোটের দিন সরকার পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে মর্মে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। সরকারের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের জন্য আমরা এসব কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’