ভারতের প্রাচীন জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘সিল’ করা বেসমেন্ট ‘ব্যাস তয়খানা’য় পুজা চলবেই। মুসলিম পক্ষকে বড় ধাক্কা দিয়ে বারাণসীর জেলা আদালতের নির্দেশ বহাল রাখল এলাহাবাদ হাই কোর্টও। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, এই মামলার শুনানি চলাকালীন মন্দির চত্বরে পুজা চালানো যাবে।
সম্প্রতি, ভারতের এএসআইয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মসজিদের ওজুখানা চত্বরে অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্বও মিলেছে। সেই সঙ্গেই হনুমান, বিষ্ণু, নান্দীর মূর্তিও থাকার কথা উল্লেখ ছিল রিপোর্টে। অস্বিত্ব মিলেছে মধ্যযুগীয় দেবদেবীর মূর্তি ও ভাস্কর্যও। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মসজিদে পুজা করার দাবিতে বারাণসীর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুপক্ষ। দিন দুই আগেই ‘ব্যাস কা তয়খানা’ চত্বরে হিন্দুদের উপাসনার অনুমতি দিয়েছিল বারাণসীর জেলা আদালত। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পরে মধ্য রাতেই শুরু হয় পুজা। প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পুজা শুরু করেছে হিন্দু পক্ষ।
জেলা আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলার জরুরি শুনানির আবেদন করেন মুসলিম পক্ষ। ওই আবেদনে বলা হয়, হিন্দু পক্ষের সঙ্গে যোগসাজেশে যোগী প্রশাসন রাতের মধ্যেই জেলা আদালতের নির্দেশকে বাস্তবায়িত করতে লেগে পড়েছে। অতএব, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যদিও মুসলিম পক্ষের আইনজীবীদের এলাহাবাদ হাই কোর্টে যেতে বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের তরফে।
তার পরই এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি মিলল না। এলাহাবাদ হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, মামলা চলাকালীন পুজা করা বন্ধ হবে না। বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারকে মসজিদ চত্বরের বাইরে এবং ভিতরের শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে।