জাপার একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, মহাসচিব মামুনুর রশীদ

জাতীয় পার্টির একাংশের নতুন চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। সেইসঙ্গে মহাসচিব হয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ।  শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দশম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে কণ্ঠভোটে দায়িত্ব ভার দেয়া হয়। ৩ বছরের জন্য গঠিত এই কমিটিতে আরও রয়েছেন নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সিনিয়র কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা,  কো চেয়ারম্যান- সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রাহগীর আল সাদ মাহি এরশাদ, গোলাম সরোয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায় । কমিটি ঘোষণা শেষে কাজী মামুনুর রশীদ বেগম রওশন এরশাদের পা ছুয়ে সালাম করেন। দলটির বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়।

এর আগে বেগম রওশন এরশাদ বলেন,   আজ আমার রাজনৈতিক জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন। আমার গড়া প্রাণপ্রিয় সংগঠন জাতীয় পার্টি- এই রকম একটি ঐতিহাসিক সম্মেলন আয়োজন করতে পেরেছে দেখে- আনন্দে আমার হৃদয় কানায় কানায় ভরে গেছে। আজ যদি এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হতো- তাহলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেতো। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আমরা হারিয়ে ফেলতাম। দেশের মানুষ- জাতীয় পার্টির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতো।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই তার প্রতিফলন ঘটেছে।

তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ এদেশে যে নতুন ধারার ইতিবাচক রাজনীতির প্রবর্তন করেছিলেন- সেই রাজনীতি হারিয়ে যেতে বসেছিলো। আজ এই দশম সম্মেলনের মাধ্যমে পল্লীবন্ধু এরশাদের নীতি-আদর্শ এবং উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও সংস্কারের রাজনীতি পুন: প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের মনে আবার আমরা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি- এই সম্মেলনের মাধ্যমে। আমরা অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এখনো টিকে আছি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর যখন একটু ঘুরে দাঁড়ালাম তখন আমাদের দলীয় প্রতীক লাঙ্গল নিজেদের আয়ত্বে রাখার জন্য আদালতে দাঁড়াতে হয়েছিলো। মাননীয় আদালতের সুবিচারে- পল্লীবন্ধু এরশাদ এবং আমি রওশন এরশাদ লাঙ্গল প্রতীক জাতীয় পার্টির জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। সেই লাঙ্গল প্রতীক- এখনো আমাদের জাতীয় পার্টির অনুকুলে আছে এবং আগামীতেও থাকবে-ইন্শা আল্লাহ।

সম্মানিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেট বৃন্দ, আপনাদের স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই- পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নাই। আমরা এক আছি- ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো। অতীতে যারা পার্টি ছেড়ে গেছে- তারা কেউ পল্লীবন্ধু এরশাদের নীতি আদর্শ নিয়ে যায়নি। এমনকি তারা পল্লীবন্ধুর ছবিও সাথে নেয়নি। তাই জাতীয় পার্টি কখনো ভেঙ্গেছে- তা আমি মনে করি না।

রওশন বলেন, আজ আমি- এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে একদা যে সব নেতা-কর্মী পল্লীবন্ধু এরশাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন- তাদের সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই- আসুন আমরা সবাই জাতীয় পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হই। দেশের রাজনীতিতে একটা সুষ্ঠুধারা বজায় রাখার জন্য জাতীয় পার্টির আর কোনো বিকল্প নাই।

Please follow and like us:

Check Also

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত ইইউ

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার ইউরোপীয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।