দুর্নীতির খবর নিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে কালের কণ্ঠ, ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’।
প্রতিবেদনে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র, যেখানে এক রাত থাকতে গেলে গুনতে হয় অন্তত ১৫ হাজার টাকা।
দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কালের কণ্ঠ জানতে পেরেছে, একক পরিবারের জন্য বানানো এসব কটেজের পেছনে ব্যয় হয়েছে অর্ধকোটি টাকারও বেশি। যাতায়াতের জন্য সরকারি খরচে বানানো হয়েছে সাত কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়ক।
পুলিশের সাবেক এই প্রভাবশালী শীর্ষ কর্মকর্তা তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের নামে অন্তত ছয়টি কম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি বলে ধারণা পাওয়া গেছে।
এছাড়া ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে রয়েছে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছেই দামি এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার।
পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরো ১০ বিঘা জমি।
অথচ ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় করেছেন এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে পদবি অনুযায়ী পেয়েছেন আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা।
![কালের কণ্ঠ](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/d78e/live/a4858c20-ef03-11ee-b0e1-b9dd5ac46984.jpg)
![সমকাল](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/3a2f/live/bb28fcf0-ef03-11ee-a041-a734ae2e6430.jpg)
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নানার অনিয়ম বিতর্ককে ঘিরে প্রধান শিরোনাম করেছে সমকাল ‘মহাক্ষমতা’র মহাপরিচালক‘।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের একনায়কতন্ত্রের ফলে প্রতিষ্ঠানটি নানা সংকটের মুখে পড়েছে। দীর্ঘ দিনের কর্মকর্তাদের পরামর্শ উড়িয়ে দিয়ে সব সিদ্ধান্ত তিনি একা নিচ্ছেন, এমনকি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের সিদ্ধান্ত প্রয়োগে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সম্প্রতি রমজানে এসে তিনি ২৯ টি পণ্যের মনগড়া দাম বেঁধে দিয়ে বাজার অস্থির করে তুলেছে। ঢাকা শহর সারা দেশে এখন বন্ধ অধিদপ্তরের আওতাধীন কৃষকের বাজার। বাজারে ঝুলছে ১২ বছর আগের পুরোনো দামের তালিকা।
প্রতিদিন ওয়েব সাইটে যে মূল্য তালিকা প্রকাশ করা হয় তাও ভুলে ভরা এবং সব জেলায় কার্যালয় থাকলেও মাঠে নেই কোন কর্মকর্তা। ৪০ বছরের তথ্যভাণ্ডার উধাও হয়ে গেছে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে।
দুটি ওয়েবসাইটে নিয়ে একসময় ২৭১টি পণ্যের বাজার মূল্য ৮২ হাজার বাজারের তথ্য, কৃষকের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সদাই’ ওয়েবসাইট এবং দুটি মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে সেগুলো পরীক্ষামূলক চালু রেখে আবার আড়াই কোটি খরচা করে একই ধরনের প্লাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অধিদফতরে ১৫৩ জনবল নিয়োগেও উঠেছে অনিয়মের বিস্তার অভিযোগ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এমন হযবরল পরিস্থিতিতে ঠকছেন কৃষক-ভোক্তা। সরকারের অপচয় হচ্ছে শত শত কোটি টাকা।
![দ্য ডেইলি স্টার](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/534f/live/c8a7bb00-ef03-11ee-b0e1-b9dd5ac46984.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতর থেকে প্রকাশিত ২০২৪ সালের বৈদেশিক বাণিজ্যে বাধা বিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Bribery, corruption major investment barriers’, অর্থাৎ’ঘুষ, দুর্নীতি বিনিয়োগের প্রধান বাধা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন ঘুষ, দুর্নীতি, শুল্ক, প্রতিযোগিতা বিরোধী ক্রয় ব্যবস্থা এবং মেধাস্বত্ব অধিকার লঙ্ঘনকে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
মার্কিন ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “দুর্নীতি বাংলাদেশে একটি বিস্তৃত এবং দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, এবং দুর্নীতি বিরোধী আইন পর্যাপ্তভাবে প্রয়োগ করা হয়নি।”
বাণিজ্যিক লেনদেনে ঘুষ এবং চাঁদাবাজি ব্যবসার সাধারণ বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও ফৌজদারি কার্যবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, দণ্ডবিধি এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন দুর্নীতির চেষ্টা, চাঁদাবাজি, সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় ঘুষ, বিদেশ সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আমেরিকান কোম্পানিগুলোর অভিযোগ, বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা ঘুষ চাওয়ার কারণে লাইসেন্সের অনুমোদন পেতে দীর্ঘ বিলম্ব হয়।
“দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ক্রমাগত প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।” যদিও দুদক ক্রমবর্ধমানভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের (প্রধানত নিম্নস্তরের কর্মকর্তা এবং কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের) বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করছে।
এদিকে সরকারি চাকুরি আইনে বলা হয়েছে, যেকোনও সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে দুদকের এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদকের ক্ষমতা সীমিত করে।
পুঁজিবাজারে নজরদারি সফটওয়্যার নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘গোপন তথ্যভাণ্ডারে অবৈধ সংযোগ‘।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেয়ারবাজারের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এবং অত্যন্ত গোপনীয় তথ্যভাণ্ডার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারি সফটওয়্যার) অবৈধ সংযোগের তথ্য মিলেছে।
শেয়ারবাজারের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সার্ভেইল্যান্স সফটওয়্যার বাজারের লেনদেন, নজরদারি এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার গোপন তথ্যভাণ্ডার। এখানে দৈনন্দিন লেনদেন, কারা কিভাবে লেনদেন করছে, কে কোন শেয়ার কিনছে সে তথ্য থাকে।
বিএসইসির ভেতরের একটি চক্র টানা সাত বছর ধরে নিয়ম লঙ্ঘন করে সার্ভেইল্যান্স এরিয়ার বাইরে সফটওয়্যারের সংযোগ স্থাপন করে কাজ করছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসার কথা জানিয়েছে যুগান্তর।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার একটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত আছে বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়। তবে যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বিষয়টি ইতোমধ্যে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলেও রহস্যজনক কারণে তারা নীরব রয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, এখনো সংযোগই বন্ধ হয়নি।
এসব ঘটনায় হতবাক বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, তথ্য পাচারের কারণে বড় অঙ্কের টাকা আয় হয়। এই টাকা দেশে থাকছে, নাকি দেশের বাইরে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার।
তবে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বলছেন, ২০১২ সাল থেকে যখন যে পরিচালক ছিলেন, তার রুমেই এই সংযোগ ছিল। সেখান থেকেই তিনি পেয়েছেন। ফলে অবৈধ বলার সুযোগ নেই।
![প্রথম আলো](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/07b1/live/8dacb370-ef03-11ee-a041-a734ae2e6430.jpg)
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘মন্ত্রী ও এমপিরা দিচ্ছেন প্রার্থী, তৃণমূলে বিভেদ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ‘প্রতিযোগিতামূলক’ করতে এবার দলীয় প্রার্থী দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন জায়গায় দলটির সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতারা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছেন।
কেউ কেউ ইতিমধ্যে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর ফলে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের তৃণমূলে সৃষ্ট বিরোধ আরও বাড়ছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বড় রাজনৈতিক দলে বিভিন্ন পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ সব সময় কমবেশি থাকে। তবে ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে বিরোধ বেড়ে গিয়েছিল।
বিএনপি বর্জন করায় ওই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়েছিল দল। তখন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগে সংসদীয় আসনভিত্তিক বিরোধ তৈরি হয়েছিল।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে বিএনপির অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে এ নির্বাচনও হবে মূলত আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে। ঈদের পর প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার শুরু হবে।
সে সময় কোথাও কোথাও ক্ষমতাসীনদের এই বিরোধ সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য স্থানীয় পর্যায়ের বিরোধ মীমাংসায় উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
![বাংলাদেশ প্রতিদিন](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/d04c/live/e16929d0-ef03-11ee-a041-a734ae2e6430.jpg)
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর, ‘মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া‘।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শনিবার দিবাগত রাত দুইটা ৫৪ মিনিটে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। গতরাতে তার অবস্থার অবনতি হলে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দ্রুত ছুটে যান তার গুলশানের বাসা ফিরোজায়।
সেখানে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা তাকে রাতে যায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর এস জেড এম জাহিদ হোসেন রাত একটা ২০ মিনিটে তথ্য নিশ্চিত করেন।
এরপর রাত আড়াইটায় গুলশানের বাসা থেকে গাড়িতে করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে ১৩ই মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পর দিনই তিনি বাসায় ফেরেন।
![নয়া দিগন্ত](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/fffc/live/f00824f0-ef03-11ee-a041-a734ae2e6430.jpg)
শিক্ষাখাতে ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকে ২৫ মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, করোনার সময়ের চেয়েও নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক এই উভয় পর্যায়েই দেশে প্রতি পরিবারেই শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে।
বিশেষ করে দেশের প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী প্রতি বছরে একটি পরিবারের ব্যয় হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। আর মাধ্যমিকে ২৭ হাজার টাকার বেশি ব্যয় হচ্ছে।
গতকাল ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা: মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর ব্যয় বেড়েছে স্বীকার করলেও এর প্রকৃত হিসাব নেই বলে প্রতিবেদনের গবেষকরা জানিয়েছেন।
এ খরচের বড় অংশই চলে যায় টিউশনি বা কোচিং সেন্টারে। এ ছাড়া বাকি খরচ হয় গাইড বইসহ সহায়ক বিভিন্ন সামগ্রী, যাতায়াত, খাবার, শিক্ষা উপকরণ (বই, খাতা, কলম), স্কুলের বিভিন্ন ফি এবং এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা উপার্জনের মাধ্যমে তাদের পরিবারে আর্থিক অবদান রাখে, যা তাদের ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে দারিদ্র্যকেই নির্দেশ করে।
ঝরে পড়ার কারণগুলো দূর করতে এবং স্কুলে কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে লেখাপড়ার মান গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে এবং তা পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী হতে হবে বলে গবেষণায় সুপারিশ করা হয়।
![নিউ এইজ](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/f7be/live/faab1340-ef03-11ee-975b-efffd9777018.jpg)
একই বিষয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে নিউ এইজ। পত্রিকাটির দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম হল বুয়েটের পরিস্থিতি ঘিরে ‘BUET situation heating up‘ অর্থাৎ ‘বুয়েটের পরিস্থিতি উত্তপ্ত’ ।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও তাদের সমর্থকদের চাপের মুখে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে রাজনীতি ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
তারা শনিবার পরীক্ষা বর্জন করে। ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে তারা। এই অবস্থায় বুয়েটে চলমান আন্দোলনকে ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।
শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের শোডাউনের পর বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদের অভিযোগের বিষয়ে ৮ই এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শনিবার ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একই দিন এক কর্মসূচির পর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বুয়েটের অভ্যন্তরে কোনো উগ্রপন্থী গোষ্ঠী গোপনে কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি একাডেমিক পরিবেশ নষ্ট না করতে এবং চরমপন্থা ও মৌলবাদে উসকানি না দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
![বণিক বার্তা](https://ichef.bbci.co.uk/ace/ws/640/cpsprodpb/2327/live/03d7dc50-ef04-11ee-975b-efffd9777018.jpg)
বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থায়ন নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘বাংলাদেশে গত এক যুগে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে মধ্যপ্রাচ্যের অবদান সামান্য’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন করলেও দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বড় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, বিগত এক যুগে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ অর্থায়ন এসেছে সাকল্যে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারেরও কম।
দেশগুলো থেকে প্রতিশ্রুত অর্থের ছাড়ও এখন কমে এসেছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোয় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রায় প্রতিটিরই বড় অংকের বেশকিছু তহবিল রয়েছে। যদিও এসব তহবিল থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে দেশগুলোকে সেভাবে আকর্ষণ করা যায়নি।
এর কারণ সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ও সম্ভাবনাগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা যায়নি। বিনিয়োগ পেতে হলে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের কথা বলেছেন তারা।