পাবনায় সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইন বহির্ভূতভাবে অর্থ খরচের অভিযোগে নগদ ২২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও ১০ সহযোগীসহ প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার (৭ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভাবনীপুর থেকে তাদের আটক করা হয়।
রাতেই প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান। আটককৃতদের মধ্যে পৌর দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন। বাকীদের নাম জানা যায়নি।
শাহিন সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ব্রিফিংয়ে র্যাবের কমান্ডার এহতেশামুল হক খান জানান, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে র্যাবের নিয়মিত টহল দল চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও ১০ সহযোগীসহ আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করতে টাকাগুলো বিতরণের জন্য রাখা হয়েছিল। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, শাহীন আটকের ঘটনাকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তার সমর্থকরা। রাতেই তারা সুজানগর থানা ঘেরাও করে শাহীনের মুক্তি দাবি করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।