Breaking News

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জাতীয় মেধা তালিকা (মেরিট লিস্ট) প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে মেরিট লিস্ট দেখতে পারছেন।

এর আগে গত ২২ জুন ‘ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি’ অনুযায়ী শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। সেই থেকে এসব পদের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ চলছে। আবেদন ও আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় ১০ জুলাই রাত ১২টা।

এবারের বিজ্ঞপ্তিতে সর্বমোট প্রায় ১ লাখ ৮২২টি এমপিওভুক্ত পদে নিয়োগ সুপারিশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদরাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ১১০টি পদ।

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ ৪ জুন ২০২৫-এ যাদের বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে, তারাই শুধু আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি, সনদের মেয়াদ গণনা করা হবে ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত। এছাড়া, নারী কোটায়ও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য এনটিআরসিএর নির্ধারিত ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের নির্ধারিত পোর্টালে গিয়ে ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে আবেদন জমা দিতে হবে। ফি জমা না দিলে আবেদন বাতিল হবে।

তবে বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে তার সুপারিশ বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষককে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এমপিও স্থগিত ও ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দাখিলকৃত শূন্যপদের তথ্য উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। ভুল চাহিদাজনিত কারণে নিয়োগে কোনো জটিলতা দেখা দিলে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না বলেও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও প্রিলিমিনারি যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়।

About news-admin

Check Also

জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই, এনসিপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা : সালাহউদ্দিন

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি জোট গঠনের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *