খুলনার স্থানীয় বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র ‘ দৈনিক খুলনাঞ্চল” এ ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ, আজগুবি-বানোয়াট ও মনগড়া সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা। আজ (১২ জুলাই) মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ও সেক্রেটারি রাকিব হাসান এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ” যুবদল নেতা মাহবুব শিবিরের কিলিং এর শিকার” এই শিরোনামে খুলনার প্রথম সারির সংবাদপত্র খুলনাঞ্চলের একটি প্রতিবেদন আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে ছাত্র শিবিরকে জড়িয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা শুধু হাস্যকরই নয়, আজগুবি গল্পকাহিনীতে ভরপুর। একপেশে ওই সংবাদে দৈনিক খুলনাঞ্চল ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরের কোন দায়িত্বশীলের বক্তব্য গ্রহণ না করে একপাক্ষিক ভাবে এবং তথ্য যাচাই-বাছাই না করে
ছাত্রশিবির কে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
আমরা মনে করি, দৈনিক খুলনাঞ্চলের মতো একটি প্রসিদ্ধ সংবাদপত্র এ ধরনের একপাক্ষিক এবং মনগড়া প্রতিবেদন “দুর্ঘটনাবশত” করেছে- এমনটি বিশ্বাস করার কোন যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। বরং এটি স্পষ্ট যে,
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছাত্র শিবিরের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড এবং ইতিবাচক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা ভুলে একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
আমরা দৈনিক খুলনাঞ্চল কর্তৃপক্ষের এই দায়িত্বহীন, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়াও আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই উক্ত ঘটনা সাথে ছাত্রশিবিরের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ছাত্র ও জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতির কাছে একটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। তবে একটি অসাধু মহল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে এবং পরিকল্পিতভাবে ছাত্র শিবিরের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। উক্ত প্রতিবেদন তারই অংশ বলে আমরা মনে করি।
আমরা দৈনিক খুলনাঞ্চল কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকতার পেশাগত শিষ্টাচার মেনে অবিলম্বে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ এবং সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাই।
ক্রাইম বার্তা