গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৩ লাশ: তত্ত্বাবধায়ক

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৩ লাশ: তত্ত্বাবধায়ক

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ শহরে অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বুধবার বিকাল ৫টায় ক্রাইমবাতা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এখানে তিনজনের মরদেহ আনা হয়েছে।”

তবে তাদের পরিচয় বা অন্য কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। দুপুর থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

তবে গোপালগঞ্জের পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হতাহতের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম) খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, “একজনের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে তবে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

আর পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, “মৃত্যুর খবর আমরা এখনো অফিসিয়ালি জানতে পারিনি। যা জানছি টিভি দেখে জানতে পারছি।”

এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলানো হয়।

বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়।

এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এ পরিস্থিতিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। দুপুরে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারির কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

About news-admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *