নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামনগর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির বর্তমান ওয়ার্ড সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আল ইমরান নামে এক ব্যক্তি। তবে তাঁর রাজনৈতিক অতীত নিয়ে তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আল ইমরান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত এমপি জগলুল হায়দারের ছোট ভাই জহিরুল হক বাবুর ঘনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। চেয়ারম্যানের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি সালিশ-বিচার ও নানা প্রভাব খাটিয়ে অর্থ বাণিজ্যে জড়ান। অভিযোগ রয়েছে, চন্ডিপুর গ্রামের ভ্যানচালক রশিদের কাছ থেকে জমি সংক্রান্ত একটি সালিশের নামে তিনি ১০ হাজার টাকা নেন।
এছাড়া ‘বন্ধুমহল ক্লাব’-এর সভাপতি পদ দখল, সরকারি খাল দখল এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সক্রিয় অংশগ্রহণ তাঁর অতীতের কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয়রা বলেন, ইমরান নিয়মিত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছায়ায় চলাফেরা করতেন এবং তাঁদের ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর’ সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল।
তবে ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করেই তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওয়ার্ড সেক্রেটারি পদে আসীন হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের অনেক বিএনপি কর্মী। তাঁদের প্রশ্ন, “আওয়ামী লীগের দোসর কীভাবে বিএনপির নেতা হলেন?” একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী বলেন, “আওয়ামী লীগিদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে কি বিএনপি?” জেলা বিএনপির কাছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, বিষয়টির তদন্ত করে প্রকৃত সত্য যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নয়তো তাঁর অতীত কর্মকাণ্ডের দায় দলকে বহন করতে হবে। আল ইমরানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ক্রাইম বার্তা