ছাত্রসমাজের চরিত্র গঠন ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের দায়িত্ব ছাত্রশিবিরকেই নিতে হবেঃ সাতক্ষীরা জামায়াত আমীর

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ “ছাত্রসমাজের চরিত্র গঠন ও মানসিক উৎকর্ষ সাধনের দায়িত্ব ছাত্রশিবিরকেই নিতে হবে, যা অন্য কোনো সংগঠনের পক্ষে সম্ভব নয়। দীর্ঘ প্রতিকূল সময়ে টিকে থাকা সংগঠনটি এখন অনুকূল পরিবেশে সময় নষ্ট না করে ছাত্রসমাজের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিতে এবং তাদের চরিত্র গঠনের গুরু দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হবে।” বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীর জেলা শাখার উদ্যোগে থানা দায়িত্বশীলদের নিয়ে দিনব্যাপি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল এসব কথা বলেন।
শনিবার ১৬ আগষ্ট সাতক্ষীরা মুন্সিপাড়াস্থ কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ জুবায়ের হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি নাজমুল ইসলামে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরি পরিষদ সদস্য ও সাবেক মাদ্রাসা সম্পাদক হাফেজ ইমদাদুল হক, সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকর পরিষদ সদস্য ও সাবেক এইচআরডি সম্পাদক মোঃআব্দুর রহিম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা শিবিরের সেক্রেটারিয়েটবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা জামায়াত আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, “বিগত সাড়ে পনেরো বছর ধরে ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়নি, মাদরাসাগুলোতেও স্বনামে দাওয়াত দেওয়ার পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। ছাত্রশিবিরের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে ছাত্রসমাজের কাছে নেগেটিভ চরিত্রের সংগঠন হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাসা থেকে ধরে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হতো। তবে এসব বাধা অতিক্রম করে ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের কাছে সভ্য, ভদ্র এবং মেধাবী ছাত্রদের ঠিকানা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।”
সভাপতির বক্তব্যে জেলা সভাপতি জুবায়ের হোসেন বলেন, “আমরা ছাত্রশিবির নামক বাগানের মালি। আমাদের সামনে শহীদদের রক্তের উত্তরাধিকার ও বিপুল দায়িত্ব রয়েছে। এই পথ ফুল বিছানো নয়; বরং এটি কণ্টকাকীর্ণ। সংগঠনের প্রতিটি দায়িত্বশীলের উচিত এ দায়িত্বকে আমানত হিসেবে বিবেচনা করা।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রত্যেকটি কাজ ইসলামের নির্দেশনার আলোকে পরিচালিত হতে হবে। দায়িত্বশীল হিসেবে আমাদের উচিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্নেহশীলতা ও করুণার গুণাবলি অর্জন করা। সহজ—সরল জীবনে অভ্যস্ত হওয়া এবং অহংকার থেকে মুক্ত থাকা একজন দায়িত্বশীলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।”

আবু সাইদ বিশ^াস
সাতক্ষীরা
১৬/৮/২৫

About news-admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *