রেবেকা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো প্রদ্যুতের। সম্পর্কের এক পর্যায়ে রেবেকা বেগম প্রদ্যুৎ কুমার মন্ডলকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। গত ২১ জুন সন্ধ্য অনুমান ৬.৩০ টার সময় ডুমুরিয়ার বান্দা গ্রামের শকুরের বিলের মাছের ঘেরের পাড়ে রেবেকা বেগমের সাথে দেখা হলে ঐ দিনই রেবেকা বেগম প্রদ্যুৎ কুমার মন্ডলকে বিবাহ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করার এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই তাকে হত্যা করে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত প্রদ্যুৎ কুমার মন্ডল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার এর আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে এবং জবানবন্দীতে উপরোক্ত বিষয় প্রকাশ করেছে বলে খুলনা জেলা পুলিশের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।
খুলনার ডুমুরিয়া থানার কোমলপুর গ্রামের মৃত ইনছান সরদার এর মেয়ে রেবেকা বেগম গত ২১ জুন সকাল অনুমান ৭টার সময় তার নিজ বাড়ি থেকে বের হন। পরবর্তীতে ২২ জুন বিকাল ৪টার সময় ডুমুরিয়া থানার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের বান্দা গ্রামের শকুরের বিলের অসিম কুমার বিশ্বাস এর মাছের ঘেরের পাড়ে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর রক্তাক্ত যখম অবস্থায় রেবেকা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রেবেকার বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। ডুমুরিয়া থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-২৩/০৬/২০২৫ খ্রি., ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। মামলার পর খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টি. এম. মোশাররফ হোসেন এর নিবিড় তত্বাবধানে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেপ্তার এবং হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মুক্ত রায় চৌধুরী এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
তদন্ত পরিচালনাকালে ঘটনার পরিপার্শ্বিকতা এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডুমুরিয়ার বান্দা গ্রামের মৃত ননী গোপাল মন্ডলের ছেলে প্রদ্যুৎ কুমার মন্ডল (৫৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশ রিমান্ডে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে রেবেকা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ঠ আলামত উদ্ধার করা হয়।
ক্রাইম বার্তা