সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ঢাকার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার ও সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস খ্যাত মো. সালমান হোসেনের হাঁটুর অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকেলে ভারতের মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে তার এই অস্ত্রোপচার করেন খ্যাতনামা অর্থোপেডিক চিকিৎসক ডা. দিনশাও পার্দিয়ালা।
অপারেশন শেষে পেসার সালমান বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ! অপারেশন সফল হয়েছে। খুব সুন্দরভাবে সার্জারিটি শেষ হলো।”
অস্ত্রোপচারের খরচ বহনে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), যারা প্রায় চার লাখ টাকা প্রদান করে। এছাড়া ক্রিকেটার্স ওয়ালফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব), জাতীয় দলের তারকা মোস্তাফিজুর এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকও সালমানের পাশে দাড়িয়েছে।
তবে স্থানীয় ক্লাব বা জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। “যেসব ক্লাবে খেলেছি বা জেলা ক্রীড়া সংস্থা— কেউ একবারও জানতে চায়নি আমার অবস্থা কী, আমি খেলতে পারব কিনা, এটি আমার জন্য খুবই কষ্টের বিষয়।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই তরুণ পেসার। তার ভাষায়, “আমি আবারো ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ফিরতে চাই। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন এখনো বুকে লালন করছি।”
সাতক্ষীরার ক্রীড়াপ্রেমীরা তার সুস্থতা কামনা করেছেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, শিগগিরই মাঠে ফিরে তিনি আবারো তার গতি ও দক্ষতায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করবেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার আগে অনুশীলনের সময় হাঁটুর গুরুতর ইনজুরিতে পড়েন এই পেসার। তার ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। প্রথমে কনজারভেটিভ চিকিৎসা ও রিহ্যাব নিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরীর পরামর্শে শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাকে। ২৭ বছর বয়সী সালমান হোসেন পাঁচটি প্রথম শ্রেণির ও তিনটি লিস্ট–এ ম্যাচ খেলেছেন। তিনি খুলনা বিভাগ থেকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছেন এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পারটেক্সের হয়ে খেলেছেন। এর আগে তিনি সাতক্ষীরা জেলা দল ও খুলনা অনূর্ধ্ব–১৮ ক্রিকেট দলের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছেন সুনামের সঙ্গে।
ক্রাইম বার্তা