খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ঢালাইয়ে জোর, স্থায়ীত্বকাল হবে কমপক্ষে ২০ বছর

১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে খুলনায় আসে সার্ভে টিম। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন ওই টিম। তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষায় খোয়া, বালি, পাথর এবং পিচের কার্পেটিং টিকবে না। কংক্রিটের ঢালাই টেকসই হবে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে। অধিকাংশ জায়গায় জোবা মাটি, রাস্তা সমান পানির স্তর এবং মাত্রাতিরিক্ত ওভারলোডিং পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করায় এ সমস্যা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, রোড ডিজাইন এবং সেফটি সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ তানভীর সিদ্দিক এ সার্ভে টিমের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিদিন হাজার হাজার যান চলাচল করে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে ২৫/৩০ টন পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল নিত্যদিনের ঘটনা।

এদিকে ২০২০ সালে মোজাহার এন্টারপ্রাইজের ১৩০ কোটি টাকায় তৈরি রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী অত্যন্ত নিম্নমানের। ফলে এ মহাসড়ক এখন চলাচল অযোগ্য। কার্পেটিং টেকসই না হওয়ায় গেল অর্থ বছরে ঢালাই রাস্তার জন্য ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা দিয়ে ২৩৫০ মিটার ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ মহাসড়কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ কিলোমিটার ঢালাই রাস্তা নির্মাণের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকার চাহিদা দিয়ে অধিদপ্তরে চলতি বছর প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।

গেল ১৩ অক্টোবর এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় সরেজমিন সার্ভে করার পর এ রাস্তার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ হবে। তারই আলোকে গেল ১৮ অক্টোবর শনিবার সকালে দু’সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল খুলনায় আসেন। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রোড ডিজাইন এবং সেফটি সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ তানভীর সিদ্দিক। তিনি চুকনগর থেকে খুলনার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তা সরেজমিন পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এ সময়ে তার চোখে ধরা পড়ে এ মহাসড়কের বেশ কয়েক জায়গার মাটি জোবা। যা সহজে গলে যায় এবং পানির স্তর রাস্তার প্রায় সমান সমান। তাছাড়া অতিরিক্ত ওভারলোডিং পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে।

ঢাকাস্থ সড়ক ভবনে ওই কর্মকর্তার দপ্তরে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। এ সময় তিনি বলেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানের নির্দেশে সরেজমিন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক পরির্দশনে যেয়ে ওই রাস্তার ভয়াবহ অবস্থা দেখে এসেছি। সকল বিষয় তাকে অবহিত করা হয়েছে। তবে লিখিত প্রতিবেদন এখনও জমা দেওয়া হয়নি।

এদিকে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুল হক বলেন, কার্পেটিং নষ্ট হওয়ায় কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৭ কোটি টাকার কাজটি চলামান। আরও ১০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। ঢালাই রাস্তা হলে টেকসই হবে কিনা এবং খরচ কেমন হবে সে বিষয়ে গত শনিবার ঢাকা থেকে সার্ভে টিম এ মহাসড়কে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেছেন। ঢালাই রাস্তায় খরচ একটু বেশি হলেও কমপক্ষে ২০ বছর রাস্তাটি টিকবে।

About news-admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *