ভিসা জটিলতার কারণে ব্রাজিলে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০-এ অংশ নিতে পারছে না সাতক্ষীরার দুই শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বিমানে বাংলাদেশের উপকূলীয় শিশুদের প্রতিনিধি হিসেবে ব্রাজিল যাওয়ার কথা ছিল নওশীন ইসলাম ও নূর আহমদের। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেও তাদের ভিসা না হওয়ায় তারা বিমানে উঠতে পারেনি।
নওশীন সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও প্রতাপনগর ইউনাইটেড বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অপরদিকে নূর শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা ও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
নওশীন ইসলাম ও নূর আহমদ জানায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ব্রাজিল না যেতে পারে তারা হতাশ। তারা বিশ্ববাসীকে জানাতে পারল না, কীভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিপরীতে সংগ্রাম করে বেঁচে আছে।
দুই শিশু আরও জানায়, ব্রাজিল দূতাবাস থেকে গত ৩০ অক্টোবর প্রথম দফায় তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। সবশেষ গতকাল সোমবার সকালে আবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। কিন্তু বিকেল ৪টার দিকে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্রাজিল থেকে অনুমোদন না আসায় আপাতত ভিসা দেওয়া যাচ্ছে না।
নওশীন ও নূরের কপ৩০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ এসেছিল বেসরকারি সংস্থা জাগ্রত যুবসংঘ (জেজেএস) পরিচালিত ‘স্ট্রেংদেনিং চিলড্রেনস ভয়েস অ্যান্ড লিডারশিপ ইন অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার রিস্ক ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপক নবকুমার সাহা বলেন, জাতিসংঘের ইউএনএফসিসিসি উইং থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর জাগ্রত যুবসংঘ থেকে ঢাকার ব্রাজিল দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার রাত ১টায় বিমানের টিকিটও কেটে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া বেলেমের একটি হোটেলেও বুকিং দেওয়া হয়। কিন্তু বিকেল ৪টার দিকে দূতাবাস জানায়, ব্রাজিল সরকারের অনুমোদন না আসায় আপাতত ভিসা দেওয়া সম্ভব নয়। ভিসা না পাওয়ায় নওশীন ও নূর সাতক্ষীরায় ফিরে গেছে বলে জানান তিনি।
ক্রাইম বার্তা