জলবায়ু পরিবর্তনে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি হচ্চে সাতক্ষীরা উপকূলে
সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে মিডিয়া এ্যাডভোকেসি সভায় বক্তরা।
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন,স্থানচ্যুতি জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষায় অন্তভুক্তি করার উপর মিডিয়া এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় সোনার বাংলা চাইনিজ হোটেল এন্ড কমিউনিটি সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে কারিতাসের বিএমজেড- ডিআরআর – সিসিএ প্রকল্পের সহযোগিতায় এই এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মুল বিষয়ের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের সহকারি অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনির সভাপতিত্বে ও প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ ইব্রাহিম হোসেনের পরিচালনায় এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন
কারিতাস কর্মকর্তা কামাল হোসেন, মিহির সরকার। কর্মশালায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ফারুক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আমিরুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ বিশ্বাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আক্তারুজজামান বাচ্চু, অর্থ সম্পাদক মুহাঃ জিললুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আল-ইমরান, নির্বাহি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান উজ্বল, এম জিললুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক রুহুল কুদ্দুস, মাসুদুর রহমান, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, এসএম রিজাউল করিম, কামরুল হাসান, গোলাম সরওয়ার, ইব্রাহিম খলিল, আব্দুল জলিল, মীর আবু বক্কর, রফিকুল ইসলাম শাওন, হাসানুর রহমান হাসান, মীর মোস্তফা আলী, শাকিলা ইসলাম জুই, মাহিসহ সরকারি কর্মকর্তা।
কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের সহকারি অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় অঞ্চল ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির মতো পুনরাবৃত্তিমূলক দুর্যোগের শিকার। এসব বিপর্যয় হাজার হাজার মানুষকে নগর বস্তিতে পাড়ি দিতে বাধ্য করছে, যেখানে তারা নতুন আর্থ—সামাজিক সংকটে পড়ছে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাব ও অনিরাপদ বাসস্থানের কারণে সামাজিক সুরক্ষার আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি এখন একটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। এই জনগোষ্ঠীকে জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে পারি।” তিনি আরও বলেন, “কারিতাসের মতো মাঠভিত্তিক সংস্থার গবেষণা ও সুপারিশ ভবিষ্যতের নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বর্তমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো মূলত স্থায়ী জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত এবং এগুলো ভ্রাম্যমাণ বা বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর বিশেষ চাহিদা মেটাতে অপ্রতুল। তারা উদ্ভাবনী, অভিঘাত—সহনশীল এবং নীতিগতভাবে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান
ছবির ক্যাপশন: সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে মিডিয়া এ্যাডভোকেসি
আবু সাইদ বিশ্বাস
সাতক্ষীরা
২৬/১১/২৫
ক্রাইম বার্তা