চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরায় পুলিশ পাহারায় রাস্তার কাজ শেষ করলো ঠিকাদার

বিভিন্ন অজুহাতে  প্রভাবশালী গোষ্ঠির চাঁদা দাবী, ঠিকাদারসহ কাজ বাস্তবায়কারীদের হুমকি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মালালাম দেওয়ার নামে টাকা দাবিসহ বিভিন্ন কারণে সাতক্ষীরা উন্নয়ন কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা পরিচয়ে এসব কার্যক্রম করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা। ঠিকাদারদের দাবী জেলার প্রায় সকল উপজেলায় কাজ করতে গেলে নিবর চাঁদাবাজীর স্বীকার হতে হচ্ছে। ফলে জেলার উন্নয়ন কাজ ব্যহত হচ্ছে। ইতোমধ্যে চাঁদার কারণে পুলিশ পাহারায় কাজ বাস্তবায়ন করার ঘটনা ঘটেছে।

ঠিকাদাররা জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বদ্ধিপুর কলনী এলাকায় সড়ক নির্মান কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মেসার্স ছয়ানী এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহিদ হাসানকে লাঞ্চিত করা হয়।

এ ঘটনার বুধবার সকালে পুলিশ পাহারায় পুরাতন সাতক্ষীরা সওজ থেকে গোবিন্দপুর বাজার ভায়া জেয়ালা সড়কের কার্পেটিং কাজ করতে বাধ্য হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারের অবেদনের প্রেক্ষিতে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রসাশনের সহয়তায় পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। উক্ত কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিলো এক কোটি ১২ লক্ষ আট হাজার ছয়শত ৯৩ টাকা।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার জাহিদ হাসান বলেন, আমরা সরকারের উন্নয়ন কাজের অংশীদার আমাদের কাজে বাধা দেওয়া মানে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া। বর্তমানে সাতক্ষীরা বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গেলে নিরব চাঁদাবাজির স্বীকার হতে হচ্ছে আমাদের। আমার কাছে টাকা চেয়েছিলো তাদের টাকা না দেওয়ায় রাস্তা খুড়ে দেয়। অল্প কিছু কাজ বাকি থাকতে আমাকে চরম ভাবে হেনেস্থা করেছে। পরে পুলিশ পাহারায় কাজটি শেষ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারি বদ্দিপুর সরকারী কাজে বাঁধা দিচ্ছে কিছু বকাটে, পরবর্তীতে আমার একজন সাব-ইনেন্সপেক্টর ও দুইজন কন্সেটেবল পাঠিয়ে কাজ শেষ করার ব্যবস্থা করি।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী জানান, কর্পেটিং চলাকালীন সময়ে স্থানীয় কিছু বকাটে ছেলেরা ঠিকাদারের কাছে মোট অংকের চাঁদা দাবি করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক উক্ত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় নির্মানকৃত সড়কটি সাবল দিয়ে খুড়ে দেয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে তারা অফিস এবং ঠিকাদারের লোকজনকে নানা ধরনের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে তাদের আক্রমনাতক্ত অবস্থা দেখে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ সদস্যদের পাহারায় কাজটি শেষ করা হয়।

About news-admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *