দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রম, আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে জানতে চেয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল। এছাড়া অর্থপাচার ও দুর্নীতির বিষয়েও জানতে চেয়েছে মার্কিন এই প্রতিনিধি দলটি। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমনবিষয়ক সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল দুদক সচিবের সঙ্গে বৈঠককালে এসব বিষয় জানতে চান।
দুদক কর্মকর্তারা মার্কিন দলের কাছে বিধিবিধান বিস্তারিত তুলে ধরেন। এছাড়া অর্থপাচার রোধ ও পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, দুদকের কার্যক্রম কিভাবে চলে, আইন, বিধি বিধান সম্পর্কে ধারণা নিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল।
এর আগে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে রিচার্ড নেফিউর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক প্রধান কার্যালয়ে আসে। পরে প্রতিনিধি দলটি দুদক সচিবের কক্ষে বৈঠক করে।
বৈঠক শেষে দুদক সচিব বলেন, শুধু নির্দেশনা ও সহযোগিতার বিষয়েই আলোচনা হয়নি- পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে সহযোগিতার বিষয়ে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। নির্বাচন বা রাজনৈতিক কোনো ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়নি। টাকা পাচার বিষয়ে সহযোগিতা কিভাবে হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনদিনের এই সফরে দুর্নীতি দমন কমিশন ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন নিয়ে কাজ করা সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলটির।
গত ৫ জুলাই রিচার্ড নেফিউকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের গ্লোবাল অ্যান্টি-করাপশন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সংযুক্ত। স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগদানের আগে, রিচার্ড নেফিউ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল এনার্জি পলিসিতে সিনিয়র ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।