আশাশুনিতে কন্যা হত্যা মামলায় পিতা ও মা গ্রেপ্তার

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামে কন্যাকে হত্যার অভিযোগে পিতা ও সৎ মাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ পিতা কাজল গাজী ও সৎ মা রওশনারাকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকান্ডের শিকার কাকলি আক্তার মেরীর মা ও নানী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে চাইলেও বাদীর অজ্ঞাতে দালালের ছলনায় ২ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

মামলা (নং ১৭ তাং ২৪/৭/২৫) সূত্র, মামলার বাদী রেশমা খাতুন মোবাইলে এবং নিহতের নানী সুফিয়া খাতুন সাংবাদিকদের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জানান, বাদীর স্বামী ১নং আসামী কাজল গাজী ও ২নং আসামী বাদীর সতীন রওশনারা খাতুন যোগসাজস করে বাদীকে ও তার দুই সন্তানকে ৮/৯ বছর আগে থেকে খাওয়া পরা না দেওয়ায় পরের বাড়িতে শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে বাদী সন্তানদের নিয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

গত একমাস পূর্বে কাকলীকে তারা বিয়ে দেয়। এতে কাজল ক্ষিপ্ত হয়ে কাকলীকে জোরপূর্বক নিজের বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করে রাখে। বিয়ের ১৫ দিন পর গত ৮ জুলাই ভীতি প্রদর্শন করে কাকলীকে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ২৩ জুলাই বিকালে কাজল ও রওশনারা সহযোগিদের সহযোগিতায় কাকলীকে মারপিট ও হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচার দেয়।

এব্যাপারে মা রেশমা খাতুন বাদী হয়ে কাজল, রওশনারা, মতি গাজী ও শাহিনকে আসামী করে মামলার প্রস্তুতি নিলে তাদের সাহায্য করতে আসা জনৈক আবু ইয়াহিয়া তাদের অজান্তে মতি গাজী ও শাহিনের নাম বাদ দিয়ে থানায় এজাহার দাখিল করে।

রেশমা ও সুফিয়া খাতুনকে তাদের সকলের নাম দিয়েছে বললেও আসামীদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দুজনের নাম বাদের ব্যবস্থা করে বলে অভিযোগ করে তারা বলেন, মামলার পর নকল পেতে চাইলেও নানা ছলনা করে পেতে দেয়নি।

রবিবার জানতে পারি দুজনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। আমরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে দাবী জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত আবু ইয়াহিয়া জানান, ভাই ঘটনা ওরকম না, বিষয়টা বাদ দেন।

About news-admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *