সাতক্ষীরায় ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাগন ফল চাষ। চলতি বছর জেলায় ২২হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছে। গত বছর এই পরিমাণ ছিল ১৩হেক্টর। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ড্রাগন চাষ হয়েছে কলারোয়া উপজেলায়, সেখানে ৭ হেক্টর জমিতে এই চাষ হচ্ছে।
কলারোয়ার কাজিরহাট বাজার সংলগ্ন ড্রাগন চাষি মো. মাসুম হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে ১০ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করেছি। বাজারে এই ফলের চাহিদা ভালো, দামও ভালো পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী।’ তবে তিনি বলেন, ‘ড্রাগন ফল রোগবালাই তুলনামূলক কম হলেও পরিচর্যায় খরচ বেশি। ভালো ফল পেতে হলে শুরুতেই ভালো মানের চারা বাছাই করতে হয়।’
এই বাগানে কাজ করেন আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক এই ড্রাগন বাগানে কাজ করেন। তাঁর মতে, ‘ড্রাগন চাষ যদি আরও বাড়ে, তাহলে আমাদের মতো দিনমজুরদের কাজের সুযোগও বাড়বে।’
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম. এনামুল হক বলেন, ‘সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য উপযোগী। আমরা চাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি। ড্রাগন একটি উচ্চমূল্যের ফল, এটি কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছরই চাষের পরিমাণ বাড়ছে। আমরা আশা করছি আগামী বছর এই হার আরও বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাতক্ষীরার ড্রাগন ফল এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে চাষ বাড়ানো গেলে এটি হতে পারে জেলার সম্ভাবনাময় একটি অর্থকরী ফসল।’
ক্রাইম বার্তা