শ্যামনগরে বিএনপির কমিটিতে আ.লীগ কর্মী, প্রতিবাদে মানববন্ধন

শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আ.লীগের কর্মী আমিনুর রহমানকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার বিকাল তিনটার দিকে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমর্থকদের ব্যানারে পৌরসদরের টার্মিনাল এলাকায় উক্ত মানবববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা অভিযোগ করেন সাবেক ইউপি সদস্য আ.লীগের রাজনৈতিক কর্মসুচিতে নিয়মিত অংশ নিতেন। সে সক্রিয়ভাবে আ.লীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল বিধায় বিগত সময়ে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে একাধিক উঠান বৈঠকে অংশ নেয়ারও অসংখ্য প্রমান রয়েছে। এমনকি সরকার পতনের পর ১৭ আগষ্ট নিজস্ব বাহিনী নিয়ে আ.লীগ নেতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে তার নির্দিষ্ট চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে চরম ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছিল। একটি পক্ষের কারসাজিতে জালিয়াতিপুর্বক প্রস্তুতকৃত ভোটার তালিকার সুযোগ নিয়ে তাকে কৌশলে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।

বক্তারা অবিলম্বে আ.লীগ কর্মী আমিনুর রহমানকে নির্বাচিত করার বিতর্কিত ভোট বাতিল করে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়দের সমন্বয়ে নুতন ভাবে ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচনের দাবি জানান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সাকাত হোসেন, জাসাস নেতা জাহিদ হোসেন, শ্রমিক নেতা আবু ইউসুফ, আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

এদিকে চিহ্নিত তিনজন আ.লীগ কর্মীকে শ্যামনগর পৌরসদরের চন্ডিপুর ও বাদঘাটা ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃত্বে নির্বাচিত করার প্রতিবাদে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের কাছে তারা এতদাসংক্রান্ত লিখিতভাবে অভিযোগ জানান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে আ.লীগের সাংগঠনিক কর্মসুচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী ইমরান, নুর ইসলাম বাবু ও আমিনুর রহমানকে কৌশলে বিএনপির নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের নামে গায়েবী ও নাশকতার মামলায় আসামীদের নাম সরবরাহ করতেন। এসময় তারা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে উক্ত তিন ব্যক্তির আ.লীগের দলীয় কর্মসুচিতে অংশগ্রহনের একাধিক তথ্য প্রমান সরবরাহ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে আমিনুর রহমান জানান ইউপি সদস্য হওয়ায় তাকে আ.লীগের এমপির নির্দেশনা মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হতো। তবে আ.লীগের কোথাও তার নাম নেই। একই দাবি করেন অপর দুই অভিযুক্ত নুর ইসলাম বাবু ও ইমরান।

এবিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু জানান তিনজনের বিষয় কিছু তথ্যপ্রমানসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে কাউন্সিলের আগেই এসব প্রমান পাওয়া
গেলে তাদেরকে কোনভাবেই বিএনপির সদস্য ফরম নবায়নের সুযোগ দেয়া হতো না। উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে অভিযুক্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

About news-admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *