সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে যুব-নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপদ পানির দাবিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই), স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো, সাতক্ষীরা ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘এফরটি’ প্রকল্পের আওতায় এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিডো’র প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর সহকারী কমিশনার ভূমি অতীশ সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. করিমুল হক এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দীপংকর রায়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলকাস আলী, স্বদেশের পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, জিডিএফ সভানেত্রী ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ফরিদা আক্তার বিউটি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সাতক্ষীরা এরিয়া কো-অর্ডিনেটর আল আমিন, দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি এসএম বিপ্লব হোসেনসহ বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিডো প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস এবং কার্যক্রমের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদ্জুজ্জামান তহিদ। বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের সভাপতি হৃদয় মন্ডল, কর্ণফুলী যুব সংঘের সাধারণ সম্পাদক শাহানাজ পারভীন, ইয়ূথ এ্যালায়েন্সের কর্ন বিশ্বাস কেডি, সাংবাদিক এসএম বিপ্লব হোসেন এবং সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক।
বক্তারা বলেন, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা দীর্ঘদিন ধরে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, জোয়ারের বন্যা ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে নিরাপদ পানীয় জলের তীব্র সংকটে ভুগছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী প্রতিদিন এই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তারা উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ সংকট দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। এ অবস্থায় নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি কমিউনিটিরও উদ্যোগী হতে হবে।
এডভোকেসি সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল অনলাইন প্রচারণা ও সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করা, পানি সুরক্ষা এবং ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ডিপিএইচই, স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমস্যাগুলো নীতিনির্ধারকদের সামনে উপস্থাপন করা। সভায় স্থানীয় পর্যায়ের ভুক্তভোগীরা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও চাহিদা তুলে ধরেন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের পক্ষে মত দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুব সদস্য মাসুদ রানা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশের ইন্সপেরিটর সুইট খান, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার ও ফাইন্যান্স অফিসার চন্দন কুমার বৈদ্য।
ক্রাইম বার্তা