সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার মাহমুদপুর গ্রামের সাফুল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ’র বিরুদ্ধে আপন চাচাতো ভাইদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর নির্মিত ঘরবাড়ি এবং পোল্ট্রির খামার জোরপূর্বক দখল ও ভাংচুর করে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬অগষ্ট) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবো আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মোঃ আবু বকর মোড়লের ছেলে জামায়াতের ওলামা বিভাগ সদর শাখার সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বড় চাচা রহমতুল্লাহ’র ছেলে দুই ছেলে সাফুল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ গত ৫ আগষ্ট রাত ১টার দিকে আমার দু’টি পোল্ট্রির খামার থেকে ৬০ হাজার মূল্যের ২০০ পিচ মরগি, খামার সংলগ্ন মুরগির খাদ্যের ঘর থেকে ৪৯ হাজার ৫শ’ টাকার ১৫ বস্তা খাদ্য, খাদ্যের ঘরে বাক্সে রক্ষিত ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তারা খামার দু’টি ভাংচুর করে সর্বসাকুল্যে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধান করে। এসময় আমরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই।
মাওলানা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, উক্ত জমি নিয়ে করা মামলায় গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয় এবং জমিতে যে যেখানে বিদ্যমান সেখানে স্থির থাকার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা আদারতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে গত ১৩ আগস্ট জোরপূর্বক আমাদের পোল্ট্রির খামার, ঘরবাড়ি ক্ষতিসাধন করে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে। সেখানে ঘর বাড়ি কিছুই নেই। শুধু কিছু ইট পড়ে আছে। তারা সেগুলোও লুট করে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে। এঘটনায় আমার ভাই ইয়কৃব আলী বাদি হয়ে ১৩ আগষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে তারা পলাতক রয়েছে। পলাতক থেকেও তারা লোক মারফত আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা দিতে না পারলে এবং জমিতে গেলে খুন জখম করবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি -ধামকি দিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাফুল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ এতই হিং¯্র যে, তারা এলাকার কোন মানুষের কথা শুনে না। যে কোন সময় যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালায়। তাদের ভয়ে এলাকার কোন মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলেও তারা এরূপ চাঁদাবাজী, লুটতরাজ ও ভূমি দখলের মতো বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। বর্তমান সময়েও তারা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তারা সর্বদা আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। যে কোন সময় আমাদের জান-মালের ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাদের ভয়ে বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি এব্যাপালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্থানীয় প্রশাসনসহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এর দুই ভাই আবু তাহের ও ইয়াকুব আলী ও তাদের পিতা আবু ববকর মোড়ল উপস্থিত ছিলেন।
oplus_2
ক্রাইম বার্তা