সাতক্ষীরা দুই দিনের ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরা শহরতলীর নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে নতুন করে জলাবদ্ধতা। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে বিল, খাল, পুকুর ও রাস্তাঘাট। চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষক।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর, কামালনগর, কাশেমপুর, বকচরা, বালিয়াডাঙ্গা, মাছখোলা, কাটিয়া, রসুলপুর, বাবুলিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে এসব অঞ্চলের বহু পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ঘরের ভিতর পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই মাচান বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। কলাগাছের ভেলায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে কিছু পরিবারকে। পানিবন্দী পরিবারগুলোতে রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। চুলায় আগুন জ্বালানো তো দূরের কথা, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন তারা।

জীবিকার তাগিদে অনেকেই ঘর থেকে বের হলেও রাস্তাঘাটে তেমন মানুষের দেখা মেলেনি। বাজারে দোকানপাট খোলা থাকলেও বেচাকেনা ছিল একেবারেই কম।

কদমতলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. জয়নাল বলেন, সকালে পাইকারি বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে দেখি মাছই আসেনি।

কাশেমপুরের দিনমজুর আব্দুস সামাদ বলেন, সারাদিন বৃষ্টির কারণে কোনো কাজ পাইনি, কাজ না করলে তো খাওয়া চলে না।

রসুলপুরের সরদার নজরুল ইসলাম জানান, রসুলপুর এলাকায় ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনায় থাকায় দীর্ঘ যাবত রসুলপুরসহ পুলিশ লাইন এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতায় দূর্ভোগে ভুগছেন। প্রতিবছর বছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে রসুলপুর, মেহেদীবাগ, পুলিশ লাইন এলাকায় রাস্তার উপর ও ঘরের ওঠানে হাটু পানি বাঁধে।

আবার কোনো কোনো সময় অনেকের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। এবছরও ভারী বৃষ্টিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার উপরে ও বাড়ির ওঠানে বেঁধেছে হাটু পানি। অনেকের ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে পানি।

কাশেমপুরের সবজি বিক্রেতা শাহিনুর রহমান জানান, বাজারে মালামাল আনতে পারিনি, ঘরেই বসে আছি। নি¤œাঞ্চলের পুকুর, সড়ক ও খানাখন্দ তলিয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

About news-admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *